Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কাতালান ডার্বিতে বেঁচে গেল মেসির পা এবং ম্যাচ

কাতালান ডার্বিতে ম্যাচ এবং লিওনেল মেসির প্রায় তিনশো কোটির পা— দুটোই হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটো অঘটনের হাত থেকেই বেঁচে গেল ক্লাব।

আশঙ্কা।  গোলকিপারের সঙ্গে সংঘর্ষ।

আশঙ্কা। গোলকিপারের সঙ্গে সংঘর্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৫৩
Share: Save:

কাতালান ডার্বিতে ম্যাচ এবং লিওনেল মেসির প্রায় তিনশো কোটির পা— দুটোই হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটো অঘটনের হাত থেকেই বেঁচে গেল ক্লাব।

ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে যায় বার্সেলোনা। কিন্তু মেসির দুর্দান্ত দুটো গোল এগিয়ে দেয় দলকে। তিন নম্বর গোল আসে জেরার পিকের পা থেকে। বার্সেলোনা যখন ৩-১ এগিয়ে, দ্বিতীয়ার্ধে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছিল। এস্পানিওলের বক্সে মেসি পড়ে যান। ওই সময় এস্পানিওল গোলকিপার পাও লোপেজ বল ধরার পর মেসির পায়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। যন্ত্রণায় মেসিকে কাতরাতে দেখা যায়। সৌভাগ্যবশত মেসির পায়ের বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। উত্তেজিত এলএম টেন এর পর উঠে তেড়ে যান লোপেজের দিকে। সুয়ারেজ এসে মেসিকে শান্ত করেন। বার্সেলোনার হয়ে চতুর্থ গোল করেন নেইমার।

কোপা দেল রে-র শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে এস্পানিওলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে চোখ ঝলসানো ফুটবলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়েছে বিতর্কও। বিরতির পর থেকে ফুটবল কম, প্লেয়ারদের ঝগড়া হল বেশি। যে সময়ে মেসি চোট পেতে পারতেন তাঁর তিনশো কোটিরও বেশি মূল্যের ইনসিওর করা পায়ে। পরে আবার সুয়ারেজের সঙ্গে ঝামেলা করে লাল কার্ড দেখেন এস্পানিওলের দুই ফুটবলার— হের্নান পেরেজ ও পাপাকুলি দিওপ।

উত্তেজনার রেশ ম্যাচ শেষে টানেলেও ছড়িয়ে পরে। স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ম্যাচ শেষে সুয়ারেজও মেজাজ হারান। টানেলের সামনে দাঁড়িয়ে সুয়ারেজ অপেক্ষা করছিলেন এস্পানিওল ফুটবলারদের জন্য। ড্রেসিংরুমের রাস্তায় তাঁদের ইঙ্গিত করে অকথ্য গালিগালাজ দেন ‘এল পিস্তলেরো’। এতে চটে গিয়ে আবার এস্পানিওল কোচ থেকে ফুটবলার, সবাই তেড়ে আসেন বার্সার দিকে।

যদিও ঝামেলার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বার্সা তারকা আন্দ্রে ইনিয়েস্তা বলেন, ‘‘এ সমস্ত ম্যাচে ঝামেলা হয়েই থাকে। ডার্বি মানেই মাঠে আলাদা উত্তেজনা থাকে। অনেক বেশি ফাউলও দেখা যায়। কিন্তু সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।’’ যে দিওপ লাল কার্ড দেখেন তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা মোটেও বার্সেলোনাকে ফাউল করতে আসিনি। সত্যিকারের মারলে ওদের স্ট্রেচারে বাড়ি ফিরতে হত।’’

প্রথম পর্ব ৪-১ জিতলেও আবার জেরার্ড পিকে মানতে রাজি নন দ্বিতীয় পর্বের কোনও মূল্য নেই। ‘‘এখনও কিছুই শেষ হয়নি। কোপা দেল রে-তে যা কিছু হতে পারে। গেতাফের বিরুদ্ধে ২০০৭-এ সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তবে এ দিন ফুটবল ছাড়া যা সব ঘটল, তা মাঠের মধ্যেই থাক।’’ বার্সা কোচ লুইস এনরিকেও বলেন, ‘‘এস্পানিওল এ দিন আমেরিকান ফুটবলের মতো ছক নিয়েই এসেছিল। ওদের ছক ছিল আমরা যাতে পাসিং খেলাটা না খেলতে পারি। কিন্তু মেসির গোলে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায় দল। আমরা নিজেদের খেলাটা খেলেছি। স্কোরলাইন বলে দিচ্ছে কোন দল যোগ্য হিসাবে জিতেছে।’’

এরই মধ্যে মেসির ব্যালন ডি’অর পাওয়া নিয়ে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, তা অস্বীকার করেছে ফিফা। বুধবার একটা ফিফা ওয়েবসাইটের পোস্টের ছবি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। যেখানে দেখা যায় ২০১৫ ব্যালন ডি’অর জয়ীর তালিকায় মেসির নাম লেখা। জল্পনা তুঙ্গে ওঠে, তা হলে কি ভোটের বিচারে পাঁচ নম্বর ব্যালন ডি’অর জিততে চলেছেন মেসি? যদিও ফিফা এ দিন দাবি করেছে, ছবিটা পুরনো। এর সঙ্গে মেসি ব্যালন ডি’অর জেতার কোনও সম্পর্ক নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE