২০১১ সালের বিশ্বকাপের সময় আঙুলে চোট পেয়ে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন আশিস নেহরা। সেটা ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। তার পর আর দলে ফিরতে পারেননি। কিন্তু ২০০৯ থেকে ২০১১ চোট পাওয়ার আগে পর্যন্ত ফর্মের তুঙ্গেই ছিলেন নেহরা। দেশকেও অনেক সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই একটা চোট ছিটকে দিল এতদিনের জন্য। অবাক হয়েছিলেন যখন বাকিরা ঘুরে ফিরে দলে জায়গা করে নিচ্ছিলেন তখন বাইরে বসে থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে নেহরা বলেছেন, ‘‘আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। গত ৪-৫ বছর ধরে আমাকে দলে নেওয়া হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১১র বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি খুব ভাল জায়গায় ছিলাম। ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চোট পেয়ে গেলাম। এবং তার পর থেকে আমি একমাত্র বোলার যে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পায়নি। পীযুষ চাওলা, মুনাফ পটেলরাও দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আমাকে কেন জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হল না এতগুলো বছর সেটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আর সেই সময়ের নির্বাচকরাই বলতে পারবেন।’’
কিন্তু এত বছর পর আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। আইপিএল খেলছেন সাফল্যের সঙ্গে। বয়স বেড়েছে অনেকটাই। তবুও এত বছর জাতীয় দলের বাইরে থেকে নিজেকে খেলার জন্য তৈরি রাখাটাও সহজ ছিল না। হয়তো সেই সময়ের নির্বাচকদের এখন খেলে জবাব দিচ্ছেন তিনি। বলেন, ‘‘আমি কাউকে জবাব দিতে চাই না। মানুষের আমাকে নিয়ে সংশয় ছিল এই বয়সে খেলতে পারব কী না। কিন্তু আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। তোমার যদি নিজের ওপর বিশ্বাস থাকে তাহলে কেউ তোমাকে থামাতে পারবে না।’’ তবে এই আইপিএল যে তার ক্রিকেট জীবনে বড় ভূমিকা নিয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন নেহরা। তাই তাঁর জীবনে বয়স থাবা বসাতে পারেনি। বরং মাঠে নেমে খেলে নিজেকে প্রমাণ করাতেই বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন আশিস নেহরা। যার ফল হাতে নাতে পাচ্ছেন তিনি ও তাঁর দল।
আরও খবর
আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন ম্যাক্সওয়েল