বাগনাপাড়ায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র
অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আসরের আগে ফুটবল নিয়ে উৎসাহ বাড়াতে রাজ্য জুড়ে ফুটবল বিলি করতে চায় প্রশাসন। ওই বল তৈরি করছে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অধীনে থাকা রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফট সংস্থা। রাজ্যের স্কুল, কলেজ, ক্লাবগুলির মধ্যে বিলি করা হবে মোট ১ লক্ষ ১৭ হাজার ফুটবল। নতুন এই বলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয়ী’। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গার সঙ্গে কালনা ১ ব্লকের কেশবপুর গ্রামে কয়েক জন তৈরি করছেন এই বল।
রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফট সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জয়ী’ বলের নকশা তৈরি করেছেন। নীল সাদা, লাল ও হলুদ রং ব্যবহার করা হয়েছে এই বলে। তারকেশ্বরের ভীমপুর, হাওড়ার রামরাজাতলা, চন্দননগরের মিলন সমিতি ক্লাব, কালনার কেশবপুর গ্রামে তৈরি হচ্ছে এই বল। আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ৪০ জন বন্দিও এই বলে তৈরির সঙ্গে যুক্ত।
রবিবার কেশবপুর গ্রামে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল উপলক্ষে হাজির ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানান, কেশবপুর-সহ আশপাশের এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে আরও বল তৈরির ভাবনা রয়েছে। এতে বহু পরিবার মাসে কিছু বাড়তি আয় করতে পারবে। এ দিন মাঠে হাজির থাকা ওই সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার বিদেশ বসু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নকশায় তৈরি সাড়ে সাত হাজার ‘জয়ী’ বল ইতিমধ্যেই হাওড়া, কলকাতা এবং বিধাননগরে পাঠানো হয়েছে। এ বার পুজোয় এই তিন এলাকার বড় ক্লাবগুলির মণ্ডপে দু’টি করে এই বল রাখতে বলা হয়েছে। ২৩ সেপ্টম্বরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই এই বল পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’
কেশবপুরে ‘জয়ী’ বল তৈরি করার সঙ্গে যুক্ত অঞ্জলি ভট্টাচার্য, ভগবতী মজুমদার, চিত্ররেখা দাসেরা বলেন, ‘‘প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতে বসে বল তৈরি করছি। সংসার সামলে প্রতিদিন দু’টি করে বল তৈরি করা যায়। বল পিছু মজুরি মেলে ৫০ টাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy