মনোজ তিওয়ারি বাংলার বর্ষসেরা ক্রিকেটার না হওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
অভিমন্যু ঈশ্বরন বাংলার বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়ায় বাংলার ক্রিকেট মহলে উঠল বিতর্কের ঝড়। মনোজ তিওয়ারি গত মরসুমে বাংলার সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে এই সম্মান না দিয়ে কেন অভিমন্যুকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এই বিতর্কের মধ্যেই অবশ্য শনিবার বাংলার প্রাক্তন তারকা পেসার বরুণ বর্মনকে এই বছর সিএবি-র জীবনকৃতী সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
শুক্রবার বাংলার সিনিয়র দলের নির্বাচক ও শীর্ষকর্তারা বৈঠকে বসেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার বাছতে। অভিমন্যু ও মনোজ— এই দু’জনকে নিয়েই আলোচনা হলেও শেষে নাকি তরুণ ওপেনারকেই সেরার পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, সারা মরসুমে মনোজ সবচেয়ে বেশি রান করা সত্ত্বেও কেন তাঁকে সেরার পুরস্কার দেওয়া হল না? যা নিয়ে এক নির্বাচক শনিবার বলেন, ‘‘মনোজ ও অভিমন্যুর মধ্যেই একজনকে বর্ষসেরার পুরস্কার দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। অভিমন্যু দলীপে সেঞ্চুরি করেছে, ভারত এ দলেও সুযোগ পেয়েছে। তাই সবাই মিলে ওকেই বর্ষসেরা করার সিদ্ধান্ত হয়।’’
কিন্তু সারা মরসুমে মনোজের রান যেখানে অভিমন্যুর চেয়ে বেশি, সেখানে মনোজকে সেরা বাছা হল না কেন? নির্বাচক তা মেনে নিয়েই বলেন, ‘‘জানি মনোজের সারা মরসুমে রান ১২৬২ আর অভিমন্যুর ১১১০। কিন্তু ওর দলীপের সেঞ্চুরি ও ভারত ‘এ’ দলে সুযোগ পাওয়া এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।’’
নির্বাচকের এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে বলছেন, রঞ্জি ট্রফিতেও বাংলার হয়ে ঈশ্বরন কিন্তু সবচেয়ে বেশি রান করেননি। সবচেয়ে বেশি রান করেন অভিষেক রামন (৬২৩)। ঈশ্বরন (৫৬৪) বাংলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। ভারত ‘এ’ দলে সুযোগ পাওয়ায় যদি তাঁকে বর্ষসেরা বাছা হয়, তা হলে মনোজের আইপিএলে খেলাই বা কেন বিবেচনা করা হবে না, সেই প্রশ্নও উঠছে। তা ছাড়া বাংলার অধিনায়ক গত মরসুমে তাঁর নতুন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ২১টি উইকেটও পান। বাংলা দলের নির্বাচক বলেন, ‘‘মনোজকে অসম্মান করার কোনও উদ্দেশ্যই নেই আমাদের। ও বড় ক্রিকেটার। ক্রিকেট জীবনে অনেক রান করেছে ও। ওকে ছোট করার কোনও প্রশ্নই নেই।’’
জীবনকৃতি পুরস্কারপ্রাপকের নাম বরাবরের মতো বেছে নেয় সিএবি-র ট্রাস্টি বোর্ড। অরুণলাল ও বরুণ বর্মনের মধ্যে পরের জনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী শুক্রবার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মান জানানো হবে। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন এ দিন ফিনান্স কমিটি বৈঠকে বাংলার নির্বাচকদের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে বছরে এক লক্ষ ২৫ হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy