ঘরের মাঠে জুনিয়র বিশ্বকাপ হকিতে ভারতের লক্ষ্য দু’টো।
এক) যুব বিশ্ব হকিতে দেশের পনেরো বছরের ট্রফি খরা কাটানো।
দাদাদের মতো ভাইরাও বিশ্ব হকিতে সেরা হয়েছেন মাত্র এক বার। ২০০১-এ হোবার্টে।
দুই) যুব বিশ্বকাপে নজর কেড়ে দেশের সিনিয়র হকি দলের কোর গ্রুপে ঢোকা।
যে সিনিয়র দল ঠিক আর দু’বছর পরে দেশের মাটিতে পরবর্তী বিশ্বকাপ হকির জন্য খুব তাড়াতাড়ি নতুন ভাবে গড়া শুরু হবে। ২০১৮-এ সিনিয়র বিশ্বকাপ হকি ভুবনেশ্বরে। আর বৃহস্পতিবারই জুনিয়র বিশ্বকাপ হকি শুরু হচ্ছে লখনউয়ে।
যুব বিশ্বকাপে ভারতীয় হকি দলের এই দুই টার্গেটের কথা বলেছেন আর কেউ নন, স্বয়ং জাতীয় চিফ কোচ রোল্যান্ট অল্টমান্স।
২০২০ টোকিও অলিম্পিক্স পর্যন্ত ভারতের জাতীয় হকি দলের ভারপ্রাপ্ত ডাচ কোচ অল্টমান্স দেশের জুনিয়র দলের উদ্দেশ্যে বলছেন, যুব বিশ্বকাপ আর তার পরে হকি ইন্ডিয়া লিগে (এইচআইএল) নিজেদের সেরাটা দিতে। এই দু’টো টুর্নামেন্টে ভারতের যুব হকি প্লেয়ারদের পারফরম্যান্সই হবে সিনিয়র দলে তাঁদের ডাক পাওয়ার মাপকাঠি।
‘‘আমি খেলোয়াড়ের কোয়ালিটিতে আর নতুন প্লেয়ারদের পরীক্ষা করায় বিশ্বাস করি। যুব দলকে আমি বলেছি ২০১৭ হকি ইন্ডিয়া লিগের পরে একটা নতুন কোর গ্রুপ তৈরি করা হবে ভারতের সিনিয়র দলে। ২০১৮ বিশ্বকাপ হকির কথা মাথায় রেখে। সেই কোর গ্রুপে প্রত্যেকের ঢোকার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেটা নির্ভর করবে সামনের দশ দিন জুনিয়র বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের কে কেমন পারফর্ম করে সেটার উপর। তার পর হকি লিগেও জুনিয়র ছেলেদের পারফরম্যান্সের উপর নজর রাখা হবে,’’ এ দিন বলেছেন অল্টমান্স। যিনি যুব ভারতীয় হকি দলের চিফ কোচ হরেন্দ্র সিংহকে শেষ মুহূর্তের পরামর্শ দিতে শিবিরে এসেছিলেন।
অল্টমান্স মনে করছেন, লখনউয়ে উদ্যোক্তা দেশ জুনিয়র বিশ্বকাপ হকিতে অন্যতম ব্যালান্সড দল। ‘‘ভারতের জুনিয়র দলের ভারসাম্য খুব ভাল। সব বিভাগে সমান কার্যকর। সেটাই এই দলের আসল শক্তি,’’ বলেছেন অল্টমান্স। সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘টুর্নামেন্টের বাকি পনেরো দেশের তুলনায় ভারতের অভিজ্ঞতা বেশি। কারণ আমাদের তরুণ ছেলেরা হকি ইন্ডিয়া লিগে খেলার সুবাদে আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপ সম্পর্কে বেশি ওয়াকিবহাল।’’ অল্টমান্স চান, জুনিয়র বিশ্বকাপে ভারতীয় দল পিছন থেকে গ্যালারির সমর্থন পেয়ে আক্রমণাত্মক খেলুক। টিমগেম খেলুক আর ধারাবাহিক থাকুক।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনই ভারতের ম্যাচ কানাডার বিরুদ্ধে। ‘ডি’ গ্রুপে ভারতের বাকি দু’টি ম্যাচ ইংল্যান্ড (১০ ডিসেম্বর) ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে (১২ ডিসেম্বর)। নক আউট শুরু ১৪ তারিখ। ফাইনাল ১৮ ডিসেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy