কেপির সুইচ হিট। দেখো কেমন ওড়াই! পুণের নেটে যেন সেটাই বোঝাচ্ছেন রাহানেকে। শুক্রবার মুম্বইয়ে। ছবি: এএফপি।
প্রশ্ন: দুবাই থেকেই টুইট করেছিলেন— আমার প্রিয় দেশে যাচ্ছি। আপনি কি সত্যি সত্যিই সেটা মনে করেন?
পিটারসেন: একদম। হান্ড্রেড পারসেন্ট। ভারত মানেই আমার কাছে মন ভাল করে দেওয়া একটা দেশ।
প্র: এটা কি পিটারমারিৎজবার্গে জন্মানো ও বেড়ে ওঠার জন্য? ওখানেই তো মহাত্মা গাঁধীকে ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাস কামরা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পিটারসেন: ওয়াও হিস্ট্রি! ইয়েস। ওই ঘটনাটা ছোট থেকেই জানি। কিন্তু ভারতকে ভালবাসার কারণ এখানকার মানুষ। বিশ্বের বহু দেশে ঘুরেছি। জানেন তো, আমি খুব অ্যাভেঞ্চারাস। সব জায়গার মানুষ। বিভিন্ন সংস্কৃতি, খাওয়াদাওয়া, উৎসব— সব চুটিয়ে উপভোগ করি। ভারতের মানুষ, পরিবেশ এত রংচঙে ভাবা যায় না। আর আমার খেলাটা এখানে সত্যিই একটা ধর্ম! ভারতের মতো আতিথেয়তা কোথাও পাইনি। আমার জীবনের সেরা ইনিংসটাও এই দেশে। এই ওয়াংখেড়েতেই। এর পরে ভারতকে না ভালবেসে থাকা যায়!
প্র: বলিউড না চিকেন টিক্কা মশালা— ভারতের নাম মনে করলে কোনটা আপনাকে বেশি টানে?
পিটারসেন: অফকোর্স চিকেন টিক্কা মশালা। সে দিনের টুইটটা দেখেননি! চিকেন টিক্কা নিয়েই তো করলাম। ওফ্, ভাবলেই খিদে পেয়ে যায়। জানি খেলেই ক্যালরি বাড়ার ভয়। ওকে। এক্সট্রা ওয়ার্ক আউট করে নেব (মুখে হাইভোল্টেজ হাসি)।
প্র: আপনি তো ক্রিকেট পর্যটকের মতো প্রায় গোটা বিশ্বে খেলে বেড়ান। বাড়িতে থাকার সময় পান না। পাঁচ মাসের মেয়ে রোজির কথা মনে পড়লে কী করেন?
পিটারসেন: ইমোশনাল করে দিচ্ছেন! আমার মেয়ে রোজির কথা মনে হলেই বাড়িতে ফোন করি। এই সিজনে পিএসএল, বিগ ব্যাশ মিলিয়ে তিন তিনটে ফাইনাল খেলেছি। জিতিনি। এ বার জিততেই হবে। জিততে পারলে আর কিছু চাই না। সেটা রোজিকে আমার গিফট। নিজেকেও।
প্র: বিশ্বের অনেক ক্যাপ্টেনের অধীনেই খেলেছেন। বিরাট কোহালি আর আপনার পুণের ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মধ্যে ক্যাপ্টেন হিসেবে কাকে এগিয়ে রাখবেন?
পিটারসেন: এই রে, খুব কঠিন কাজ। দু’জন দুই ঘরানার ক্যাপ্টেন। বিরাট জেতার জন্য ফোকাসড। খুব ইনভলভ্ড প্রথম থেকে শেষ বল পর্যন্ত। কিন্তু এই ক’দিন এমএসডিকে কাছ থেকে দেকে বুঝলাম, ও কেন এত সফল। ভেরি রিল্যাক্সড। ঠান্ডা। কিন্তু তার মধ্যেও খেলাটা নিয়ে মাথায় নানা রকমের অঙ্ক কষে যায়। স্কিপার হিসেবে ও একটা রহস্য। তবে কোহালি, ধোনি ক্রিকেট ছাড়ার পরই বলা সম্ভব ওদের মধ্যে কে এগিয়ে। এখন এর উত্তর দেওয়া যাবে না।
প্র: কেপি মানে সুইচ হিট। কেপি মানে দ্বিতীয় আইপিএলে প্রথম বল করতে এসে ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে প্যাভিলিয়নে পাঠানো। এ বার সেই কেপি কি ম্যাজিক দেখাবেন?
পিটারসেন: বাডি, আয়্যাম নট আ ম্যাজিশিয়ান। ক্রিকেটে যা চমক সব পরিস্থিতি বুঝে। পিএসএলে একটাও সুইচ হিট মারিনি। রোজ সবাই ওখানে আবদার করত। তবে ভারতে সেটা হবে না। চেষ্টা করব আমার ফ্যানদের খুশি করতে। তবে সবার আগে পুণের জয়। টিমকে বিপদে ফেলে দিয়ে সুইচ হিট মারতে গিয়ে আউট হব না। দেখি এ বার ক্রিকেট গড আমাদের পুণেকে ট্রফিটা দিয়ে কোনও ম্যাজিক দেখান কি না!
প্র: এ বার আইপিএলে আপনার টিম কত দূর যাবে মনে হয়?
পিটারসেন: নো স্পেকুলেশন। ওনলি পারফর্ম। বিশ্বসেরাদের নিয়ে হওয়া টুর্নামেন্টে কোনও স্পেকুলেশন খাটে না।
প্র: আপনার দেশ ইংল্যান্ড তিনটে ফর্ম্যাটেই দুরন্ত ছন্দে। ইংলিশ ক্রিকেটের এই সাফল্যের পিছনে কি আইপিএল একটা বড় ফ্যাক্টর?
পিটারসেন: ইংল্যান্ড টিম দুর্দান্ত। ওদের পারফরম্যান্স নিয়ে কোনও কথা হবে না।
প্র: ওয়াংখেড়েতে শনিবার মহারাষ্ট্র ডার্বি। ও দিকে ইডেনেও আপনারা প্রায় সেকেন্ড হোম টিম।
পিটারসেন: কেন? ইডেনে সেকেন্ড হোম কেন? আমাদের হোম তো পুণে!
প্র: আপনার ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা কলকাতার মানুষ। ওঁর জন্যই ইডেন আপনাদের হয়ে গলা ফাটাতে তৈরি।
পিটারসেন: ওহ! ইয়েস।
প্র: ওয়াংখেড়ে না ইডেন— কোন ডার্বিটা বেশি অ্যাড্রিনালিন ঝরাবে?
পিটারসেন: আমার জীবনের সেরা সেঞ্চুরি ওয়াংখেড়েতে। তাই মুম্বইয়ে খেলার মজাই আলাদা। আর ইডেন? ওই স্টেডিয়াম আর কলকাতার দর্শক রিয়েলি হট। ইয়েস্। সোওওও হট। অ্যান্ড আই লাইক টু পারফর্ম ইন ফ্রন্ট অব হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং ইডেন গার্ডেন্স।
প্র: ধরুন আপনারা আইপিএল ফাইনালে। পকেটে টিকিট একটা। দাবিদার আপনার দুই ‘প্রিয় বন্ধু’—গ্রেম স্মিথ আর অ্যান্ডু স্ট্রস। কাকে টিকিটটা দেবেন?
পিটারসেন: বন্ধু এত সোজা প্রশ্নটা করলে! ওই টিকিটটা গ্রেমকেই দেব। ও সত্যিই ভাল বন্ধু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy