বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া। ছবি: টুইটার থেকে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া। প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতলেন অ্যারন ফিঞ্চরা। বিশ্বকাপের ফাইনালে কার্যত এক পেশে লড়াইয়ে জিতল অস্ট্রেলিয়া। বিফলে গেল কেন উইলিয়ামসনের লড়াই। ৮ উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অ্যারন ফিঞ্চ। তখনই প্রথম তিন ওভারে ২৩ রান উঠে গেলেও চতুর্থ ওভারেই আউট হয়ে যান ড্যারিল মিচেল (৮ বলে ১১ রান)। মার্টিন গাপ্টিল এবং কেন উইলিয়ামসন যদিও শুরুর ধাক্কাটা সামলে দেন। ধীরে ধীরে ইনিংস গড়তে থাকেন তাঁরা। ৩৫ বলে ২৮ রান করে ফেরেন গাপ্টিল। তাঁকে মারার সুযোগই দিচ্ছিলেন না মিচেল স্টার্করা।
উইলিয়ামসন যদিও ছিলেন নিজের ছন্দেই। ৪৮ বলে ৮৫ রান করেন কিউয়ি অধিনায়ক। দশটি চার এবং তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। শেষ বেলায় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৭২ রানে পৌঁছে দেন জিমি নিশাম। ৭ বলে ১৩ রান করেন তিনি। লড়াইয়ের মতো স্কোর তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার মারতে শুরু করলে যে কোনও বোলারকেই তাঁর সামনে শিশু লাগে। ট্রেন্ট বোল্টদেরও তেমনই মনে হতে লাগল। অ্যারন ফিঞ্চকে (৭ বলে ৫ রান) তাড়াতাড়ি ফেরালেও ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ যেন ঝড় তুললেন দুবাইয়ের মাঠে। ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনদের নিয়ে ছেলে খেলা করলেন দু'জনে। আইপিএল-এ যে ওয়ার্নারকে মাঠের বাইরে বসতে হয়েছিল, বিশ্বকাপের শুরুতেও যিনি ছন্দে ছিলেন না, তিনিই ফাইনালে ম্যাচ বার করে দিলেন। সেই মার্শও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। মার্শ অপরাজিত থাকেন ৭৭ রান।
২০১৫ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। রবিবার বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল কিউয়িদের সামনে। কিন্তু ব্যর্থ হলেন বোল্টরা। দ্বিতীয় হয়েই থাকতে হল তাঁদের। ২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপেও ভাগ্য সহায় হয়নি উইলিয়ামসনদের। এ বারেও হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy