ইডেনে আইপিএল ফাইনাল কি আদৌ হচ্ছে? এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ভারতীয় বোর্ডকে চিঠি দিল সিএবি।
ভারত-পাক যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে আইপিএল যে সূচি দিয়েছিল, তাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ছিল ইডেনে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের তারিখ ছিল ২৩ মে। ফাইনাল ২৫ মে। কিন্তু যুদ্ধাবহে আইপিএল কয়েক দিন বন্ধ থাকার পরে ১৭ মে থেকে ফের শুরু হচ্ছে বাকি ম্যাচগুলো। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল পড়েছে ১ ও ৩ জুন। চলতি সপ্তাহেই একটি বিবৃতিতে বোর্ড জানিয়েছে বাকি ১৭টি ম্যাচ ছ’টি কেন্দ্রে খেলা হবে। যার মধ্যে নেই ইডেনের নাম। সেই বিবৃতিতে জানানো হয়, প্লে-অফ ও ফাইনালের কেন্দ্র পরে ঘোষণা করা হবে।
বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আইপিএল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল নাকি আমদাবাদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ, সে দিন কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যে অ্যাপে আবহাওয়ার আপডেট দেখা যায়, সেখানেও দেখা যাচ্ছে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৬৫ শতাংশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবুও সিএবি আত্মবিশ্বাসী, বৃষ্টি হলেও ম্যাচ আয়োজন করতে সমস্যা হবে না। কারণ, ইডেনের মাঠ সম্পূর্ণ ভাবে ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বৃষ্টি থামলে ২০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচ শুরু করে দেওয়ার উদাহরণ বহু আছে। ব্রায়ান লারাও এক বার বলেছিলেন, ‘‘বৃষ্টি পড়লে ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ মাঠে খেলা আয়োজন করা যায় না। ইডেনে কিন্তু করা যায়। কারণ, সারা মাঠ আচ্ছাদন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।’’
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালের কেন্দ্র হিসেবে ইডেনের নাম সরিয়ে দেওয়া নিয়ে সিএবির অন্দরমহলে বাড়ছে ক্ষোভ। তবে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে রয়েছেন অভিষেক ডালমিয়া। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করছেন, জগমোহন ডালমিয়া-পুত্র অভিষেক কলকাতায় ফাইনাল রাখার ব্যাপারে আপ্রাণ লড়াই করবেন।
সিএবির এক কর্তা বলছিলেন, ‘‘আইপিএল ফাইনাল আয়োজন করার জন্য অনেক রকম পরিকল্পনার দরকার হয়। আমাদের যদি জানানো না হয় ফাইনাল কোথায় হবে, তা হলে আমরাও এগোতে পারছি না।’’
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী যে দল চ্যাম্পিয়ন হয়, তাদের ঘরের মাঠে ফাইনাল দেওয়া হয়। কেকেআর গত বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সেই অনুযায়ী ইডেন এ বারের ফাইনাল পেয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে যে ফাইনাল সরে যেতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা সিংহভাগ কর্তাই মানতে পারছেন না।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)