আরও সমস্যায় শাকিব আল হাসান। শেয়ার বাজার দুর্নীতিতেও জড়িয়ে গেল বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়কের নাম। শাকিব-সহ ১৬ জন অভিযুক্তের দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ঢাকার একটি আদালতের। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
বেআইনি ভাবে শেয়ার বাজারে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে। আর্থিক তছরুপের জন্য শাকিব এবং তাঁর সঙ্গীরা ৮.৯৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা (প্রায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৭২ হাজার ভারতীয় টাকা) এবং ৪.৪৮ কোটি বাংলাদেশি টাকার (প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ ভারতীয় টাকা) দু’টি লেনদেন করেছিলেন বলেও অভিযোগ। শেয়ার বাজারের একাধিক নিয়ম ভাঙার অভিযোগও রয়েছে শাকিবের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী নির্দেশক সাজ্জাদ হোসেন এবং উপ-নির্দেশক মহম্মদ রোকনুজ্জামান দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন শাকিবদের বিরুদ্ধে। মামলার শুনানির পর ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশ্যাল জাজ মহম্মদ জ়াকির হোসেন, অভিযুক্ত ১৬ জনের দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেউ বাংলাদেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এই নির্দেশের ফলে শাকিবের দেশে ফেরার আশা আরও কমল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে শাকিবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয় দুর্নীতির অভিযোগে।
বাংলাদেশের হয়ে গত বছর অক্টোবরে শেষ খেলেন শাকিব। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলতে এসেছিলেন লন্ডন থেকে। তারও আগে গত বছর অগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের বাইরে রয়েছেন শাকিব। একটি হত্যার মামলাতেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। শাকিব চেয়েছিলেন দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং অন্তর্বর্তী সরকার আইনি নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও আশ্বাস না দেওয়ায় টেস্ট খেলতে দেশে ফেরেননি শাকিব। গত পাকিস্তান সুপার লিগে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন তিনি।
এক সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের সচেতনতা প্রচার দূত ছিলেন শাকিব। নিজেদের প্রাক্তন দূতের বিরুদ্ধেই আদালতে গিয়েছিল কমিশন। তাতেই আরও বিপদে পড়লেন ৩৮ বছরের ক্রিকেটার।