শনিবার ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ায় মাত্র তিন বল ব্যাট করেছিলেন শুভমন গিল। সন্ধ্যায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। এখনও তাঁর ঘাড় শক্ত হয়ে আছে বলে জানা গিয়েছে। গুয়াহাটি টেস্টে শুভমন খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রবিবারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর।
রবিবার ম্যাচের শেষে গম্ভীর বলেছেন, “এখনও গিলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। দেখা যায় কী হয়। আজ রাতের মধ্যে ওকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ফিজিয়োরা। তার পর দল হিসাবে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।” ফলে গুয়াহাটি টেস্টে শুভমনের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা চলছেই।
বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছিল, শনিবার ঘুম থেকে ওঠার পরেই শুভমন ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। তার জন্য তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। ব্যাট করতে নামার আগেও তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। নিজের তৃতীয় বলে সাইমন হারমারকে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে ঘাড়ে আবার ব্যথা শুরু হয়েছিল শুভমনের। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে চলে এসেছিলেন ফিজিয়ো। পরীক্ষা করার পর শুভমনকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাত্র তিন বল ক্রিজ়ে ছিলেন শুভমন। সমস্যা এতটাই যে ঘাড় ঘোরাতেই পারছিলেন না শুভমন। মেরুদণ্ডেও সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।
হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর এমআরআই হয়েছিল শুভমনের। সেখানেও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এক বছর আগে এমনই একটি চোট পেয়েছিলেন শুভমন। তখনও এমআরআই করানো হয়েছিল। তখনকার এবং এখনকার এমআরআই-এর ফলাফলের মধ্যে মিল রয়েছে।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকদের দাবি, শুভমনের বয়স যেহেতু ২৬ বছর, তাই তাঁর মধ্যে সহ্যশক্তি বেশি। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘পেন থ্রেসহোল্ড’ বলে। কিন্তু এ বারের ব্যথা এতটাই যে শুভমন তা সহ্য করতে পারছিলেন না। ফলে চিকিৎসকেরা তাঁকে হোটেলে দলের সঙ্গে রাখতে চাননি। শনিবার রাতটা হাসপাতালেই ছিলেন শুভমন। ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি তা মেনে নিয়েছিল। এখন দেখার শুভমনকে নিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।