কুলদীপ যাদবের অলসতায় রেগে লাল ঋষভ পন্থ। ক্ষুব্ধ ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও। ওভার শুরু করতে বড্ড বেশি সময় নিয়ে ফেলছেন বাঁহাতি স্পিনার। গত রবিবারও একই কারণে কুলদীপকে ধমক দিয়েছিলেন গুয়াহাটি টেস্টের অধিনায়ক পন্থ।
এ বছর থেকে টেস্টে নতুন ‘স্টপ-ক্লক’ নিয়ম করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। একটি ওভার শেষ হওয়ার ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে পরের ওভার শুরু করতে হয়। দেরি করলে আম্পায়ারেরা দু’বার সতর্ক করেন সংশ্লিষ্ট দলের অধিনায়ককে। তৃতীয় বার থেকে প্রতিপক্ষ দল পেনাল্টি হিসাবে ৫ রান করে পায়।
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৭ ওভারের পর কুলদীপকে বল করতে ডাকেন পন্থ। ওভার শুরু করার আগে ভারতীয় স্পিনার ফিল্ডিং সাজাতে একটু বেশিই সময় নেন। তা দেখে রেগে যান পন্থ। সতীর্থ বোলারের উদ্দেশে পন্থ বলেন, ‘‘প্রথম বলটা অন্তত করে দে। এ রকম করিস না ভাই। আমি বার বার একই কথা বলতে পারব না।’’ পন্থের কথা শোনা গিয়েছে স্টাম্প মাইক্রোফোনে। গুয়াহাটি টেস্টে আগেই দেরি করে ওভার শুরু করার জন্য ভারতকে দু’বার সতর্ক করেছেন আম্পায়ারেরা।
সে সময় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন শাস্ত্রী। কুলদীপের দেরি দেখে তিনিও বিরক্ত হন। পন্থের কথা শোনার পর ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ বলেন, ‘‘উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে পন্থ কী বলছে, আমরা পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি। এই ব্যাপারটা হতাশার। ওভার শুরু করতে দেরি করা নিয়ে কুলদীপকে বহু বার সতর্ক করা হয়েছে। এক জন বোলারের জানা উচিত, কেমন ফিল্ডিং তার জন্য কার্যকর। বল করতে আসার পর ফিল্ডিং সাজানোর কোনও মানে হয় না। ফিল্ডারদেরও বোলারকে দেখেই বুঝে যাওয়া উচিত, তাদের কোথায় দাঁড়াতে হবে। সমস্যা হলে দুটো বল করার পর ফিল্ডারদের সরানো যেতে পারে। কিন্তু দুই ওভারের মধ্যে সময়টা মাথায় রাখা দরকার। অন্তত একটা বল করে ওভারটা শুরু করে দেওয়া উচিত। পন্থ এটাই বোঝাতে চাইছে কুলদীপকে।’’
আরও পড়ুন:
গত রবিবারও কুলদীপ ওভার শুরু করতে দেরি করছিলেন। সে সময় পন্থ রেগে গিয়ে তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘ভাই, ৩০ সেকেন্ডের টাইমার আছে। ঘরে খেলছিস না কি? একটা বল তাড়াতাড়ি কর। ভাই কুলদীপ, দু’বার সতর্ক করেছেন আম্পায়ার। পুরো এক ওভার করতে হবে না। তোরা টেস্ট ক্রিকেটকে রসিকতার জায়গায় নিয়ে গিয়েছিস।’’ উল্লেখ্য, শনিবার ম্যাচের প্রথম দিনই দেরি করে ওভার শুরু করায় আম্পায়ার সতর্ক করেছিলেন পন্থকে। দ্বিতীয় দিন ৮৮তম ওভারে আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো আবারও সতর্ক করেন তাঁকে।