কোহলি, রোহিতের বিরাট আত্মত্যাগ। ফাইল ছবি
কেন তাঁরা বাকিদের থেকে আলাদা, সেটা আরও এক বার প্রমাণ করলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়। দলের বোলারদের যাতে সুবিধা হয়, তাঁরা যাতে অতিরিক্ত আরাম পান তার জন্য নিজেদের বিজ়নেস ক্লাসের টিকিট ছেড়ে দিলেন এই তিন জন। পরিবর্তে বিজ়নেস ক্লাসের টিকিট দেওয়া হল মহম্মদ শামি, আরশদীপ সিংহ, ভুবনেশ্বর কুমার এবং হার্দিক পাণ্ড্যকে।
ভারতের প্রতিটি ম্যাচেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন জোরে বোলাররা। তাঁদের অতিরিক্ত পরিশ্রমও করতে হয়েছে। তাই ম্যাচ না থাকলে পা এবং বাকি শরীর বিশ্রাম দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। সে কারণেই বিজ়নেস ক্লাসে যাতে তারা আরামে ভ্রমণ করতে পারেন, তার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন কোহলি, রোহিত এবং দ্রাবিড়।
আইসিসি-র নিয়মানুযায়ী প্রতিটি দল চারটি বিজ়নেস ক্লাসের টিকিট পায়। সেটি সাধারণত কোচ, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক এবং ম্যানেজারকে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী দ্রাবিড়, রোহিত এবং কেএল রাহুল পেয়েছিলেন। কোহলি টিকিট পেয়েছিলেন দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বলে। কিন্তু দ্রাবিড়, রোহিত ও কোহলি নিজেদের টিকিট ছেড়ে দেন তিন সতীর্থ বোলারকে।
এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করতে হচ্ছে ভারতকেই। একই মাঠে পর পর দু’টি ম্যাচ নেই। সূচি দেখেই ভারতীয় দল বুঝতে পেরেছিল, প্রতি তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে তাঁদের বিমানে উঠতে হবে। তাই জোরে বোলাররা যাতে বিমানে ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত আরাম পান, তাই সেরা আসনগুলিই তাঁদের দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হওয়া পর্যন্ত আনুমানিক ৩৪ হাজার কিলোমিটার সফর করতে হয়েছে গোটা দলকে। খেলতে হয়েছে তিনটি টাইম জ়োন এবং বিভিন্ন পরিবেশে। কোথাও গরম, কোথাও হাওয়া দিচ্ছে, কোথাও খুব ঠান্ডা। এই পরিবেশে জোরে বোলারদের সবচেয়ে বেশি চোট পাওয়ার কথা। সেটা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেটাররা যাতে ম্যাচের দিন তৈরি থাকেন, তা নিশ্চিত করার কথা শোনা গিয়েছিল বোলিং কোচ পরশ মামব্রের কথাতেই। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিটি অনুশীলনের সেশন ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে, যাতে ক্রিকেটাররা নিজেদের শারীরিক অবস্থা বুঝে আসতে পারেন। দলকে সাহায্য করার জন্য সব সময় তৈরি রয়েছেন ফিজিয়োথেরাপিস্ট এবং ডাক্তাররা। সেই সুফলই ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy