পর্যবেক্ষণ: বোর্ডের কিউরেটর শ্যাম বাহাদুর সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।
মাঠে চলছে বাংলার ক্রিকেটারদের লড়াই। বিদর্ভের বিরুদ্ধে কোণঠাসা অবস্থা মনোজ তিওয়ারির দলের। বাইরে শুরু হয়েছে আর এক লড়াই।
বোর্ডের পাঠানো পিচ প্রস্তুতকারক শ্যাম বাহাদুর সিংহকে নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বাংলার কর্তাদের। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই বোর্ডের সঙ্গে সিএবি-র চাপানউতোর চলছে। যা শুরু হয়েছিল বিদর্ভ ম্যাচের আগে। আশ্চর্যজনক ভাবে সিএবি-র বিরুদ্ধে বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন কিউরেটর শ্যাম। শোনা যাচ্ছে, সেই চিঠিতে তিনি এমনও অভিযোগ করেন যে, তাঁকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেটা না দিলে বাংলা-বিদর্ভ ম্যাচে ‘স্পোর্টিং উইকেট’ বানানো যাবে না।
এ বারেই বোর্ড থেকে নিয়ম করা হয়েছে, আগের বছরের মতো নিরপেক্ষ কেন্দ্রে আর রঞ্জি ম্যাচ হবে না। তার বদলে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বোর্ড-নিযুক্ত পিচ প্রস্তুতকারকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে যাবেন। অর্থাৎ, বাংলায় ম্যাচ এলে অন্য রাজ্যের পিচ প্রস্তুতকারক এলেন। বা বাংলার কিউরেটর গেলেন অন্য রাজ্যে। তেমনই বাংলার এই ম্যাচের আগে রাঁচি থেকে এসেছিলেন শ্যাম বাহাদুর। তাঁর সঙ্গে শুরুতেই সঙ্ঘাত হয় সিএবি-র পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায়ের। তার জেরেই সুজনের বিরুদ্ধে বোর্ডকে লেখেন শ্যাম।
বিদর্ভ ম্যাচ তো রবিবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিএবি কর্তারা আরও আতঙ্কের খবর শুনেছেন যে, শ্যামকে নাকি পরের ম্যাচেও রেখে দিচ্ছে বোর্ড। গোয়ার বিরুদ্ধে ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু সেই ম্যাচ কার্যত মরণ-বাঁচন পরীক্ষা হয়ে যেতে পারে মনোজদের জন্য। সেই কারণেই এই খবর শুনে আঁতকে উঠেছেন কর্তারা। কথা উঠছে, ফের বোর্ডকে এ নিয়ে চিঠি পাঠানো হবে কি না যে, শ্যামকে সরিয়ে অন্য কাউকে পাঠানো হোক।
সিএবি যুগ্ম-সচিব অভিষেক ডালমিয়াকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বললেন, ‘‘বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির সভায় কথা হয়েছিল, বোর্ডের কিউরেটর স্থানীয় কিউরেটরের সঙ্গে একযোগে ভাল উইকেট তৈরিতে সাহায্য করবেন। সেটা হচ্ছে কোথায়? আর আগে থেকেই যিনি অভিযোগ করে বসে আছেন, তাঁর মনটাই তো বাংলাকে নিয়ে বিরূপ হয়ে থাকতে পারে। সেটাই আমরা বোর্ডকে জানানোর চেষ্টা করব।’’ অভিষেক যোগ করছেন, ‘‘বাংলার এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচের ক্ষেত্রে আমাদের কোনও প্রশ্ন থাকলে সেটা তো বোর্ডকে জানাতেই পারি।’’
যদিও পিচ প্রস্তুতকারককে নিয়ে প্রশ্নের মাঝেও বলতেই হবে যে, মাঠে নেমে বাংলাও ভাল খেলছে না। পিচ হারাচ্ছে, বলার উপায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy