Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফণী-ত্রাণে দ্যুতি দিলেন ৫০ হাজার

সর্বহারা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ নিয়ে ওড়িশার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মঙ্গলবার দান করলেন ৫০ হাজার টাকা। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০৪:২৭
Share: Save:

ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির অতিথি নিবাসে বসে তিনি দেখেছেন সাইক্লোন ফণীর তাণ্ডব। প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার শিকার মানুষের সন্ত্রস্ত মুখগুলো এখনও ভাসছে তাঁর মনে। ওড়িশার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই সাইক্লোনের তাণ্ডবে ভেঙেছে তাঁর গ্রামের বাড়ির পাঁচিলও।

সামনের মাসেই বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় মিট। তার প্রস্তুতির জন্য রবিবার ভুবনেশ্বর থেকে হায়দরাবাদে উড়ে এসেছেন দেশের দ্রুততমা অ্যাথলিট দ্যুতি চন্দ। কিন্তু প্রস্তুতির মাঝেও তাঁর রাজ্য ওড়িশার সাইক্লোন আক্রান্ত মানুষদের ত্রাণের জন্য এগিয়ে এলেন দ্যুতি। সর্বহারা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ নিয়ে ওড়িশার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মঙ্গলবার দান করলেন ৫০ হাজার টাকা।

এ দিন দ্যুতিকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘ফণী ভুবনেশ্বরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় নিজেই প্রাণে বাঁচব ভাবিনি। ঝড় থামার পরে আশেপাশের এলাকায় দেখেছি ঘর বাড়ি ভেঙে সব হারানো মানুষের কান্না। এই মুহূর্তে ওড়িশার সাইক্লোন কবলিত এলাকার অবস্থা ভয়াবহ। পাঁচ লক্ষ কাঁচা বাড়ি মাটিতে মিশে গিয়েছে। তাই নিজের ক্ষুদ্র আর্থিক সামর্থ্য নিয়ে ওদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আজই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলাম।’’

ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে উঠে এসেছেন দ্যুতি। সে কথা মনে করিয়ে দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলিট বলেন, ‘‘ঝড়ে আমাদের জাজপুরের বাড়ির পাঁচিল ভেঙে গিয়েছে। জানি, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানহীন মানুষের যন্ত্রণা। আমার পঞ্চাশ হাজার টাকায় হয়তো কিছুই হবে না। কিন্তু এ ভাবেই সবাই মিলে এগিয়ে এলে ওদের ঘরবাড়িগুলো নতুন করে গড়ে দেওয়া যাবে। সহায় সম্বলহীন মানুষগুলোর মুখে ফের হাসি ফুটবে। তাই আমার পরিচিত মানুষদেরও ত্রাণ তহবিলে সাধ্য মতো সাহায্য

করতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE