শ্রেয়স আইয়ার: ৫৬ বলে ৮৩, বাউন্ডারি ৭, ওভার বাউন্ডারি ৫।
মুম্বইয়ের ছেলে দিল্লিকে জেতালেন। দিল্লির ছেলে যা পারলেন না মুম্বইকে। নিট ফল, জন্মদিনের ২৪ ঘণ্টা আগে গ্যালারিতে বসে টিমের হার দেখলেন সচিন তেন্ডুলকর।
কোটলার জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটে উঠল ‘মুম্বই সে আয়া মেরা দোস্ত’, যখন ওপেনার শ্রেয়স আইয়ার মাত্র ৫৬ বলে ৮৩ রানের আগুনে ইনিংস খেলছিলেন। তরুণ মুম্বইকরকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন অধিনায়ক জেপি দুমিনি (৫০ বলে ৭৮ নটআউট)। যার সুবাদে টস হেরেও প্রথমে ব্যাট পেয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস কুড়ি ওভারে ১৯০ রানের বড় ইনিংস গড়ে ফেলে। চার উইকেট খুইয়ে।
জবাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫৩-৯ স্কোরেই আটকে থাকল। তিন নম্বরে উন্মুক্ত চন্দ নামলে দিল্লির ছেলেরও বিভীষণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ছিল। দুটো বাউন্ডারি মেরে দারুণ শুরু করলেও অবশ্য ১১ বলে ১৪-তেই তাঁকে থামিয়ে দেন অমিত মিশ্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ শ্রেয়সের পাশপাশি দিল্লি শিবিরে আর এক নায়ক হয়ে থাকলেন ইমরান তাহির। পাক বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান লেগ স্পিনার আজ চার ওভারে তিন উইকেট (২২ রানে) তুলে নিয়ে সিএসকের নেহরার থেকে চব্বিশ ঘণ্টা পরেই ফের পার্পেল ক্যাপ (সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি) মাথায় চড়ালেন। পুরস্কার মঞ্চে বলে দিলেন, ‘‘ম্যাচের আগে বউকে ফোনে কথা দিয়েছিলাম পার্পল ক্যাপটা ফিরিয়ে আনব।’’
অন্য দিকে, শ্রেয়স এক লাখের চেকের সঙ্গে পেলেন কিংবদন্তি মুম্বইকর সুনীল গাওস্করের স্নেহমিশ্রিত বকুনি—‘‘ছেলেটা স্ট্রেট শট ভাল খেলছিল। মালিঙ্গার বিরুদ্ধে একটা অদ্ভুত শট মেরে বোল্ড না হলে আজ সেঞ্চুরি বাঁধা ছিল!’’ ডিডির ৩৭ রানে সহজ জয়ের দিন কেবল একটাই দুশ্চিন্তার বিষয়— ষোলো কোটির যুবরাজ এ দিনও ২ রানে আউট হয়ে ফিরলেন। আর সাত জন বল করলেও যুবিকে বল দেওয়ার সাহস পেলেন না তাঁর অধিনায়ক দুমিনি!
গুরু প্রণাম। কোটলায় ম্যাচ শুরুর আগে সচিনকে এ ভাবেই চমকে দিলেন যুবরাজ। ছবি: টুইটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy