জাতীয় সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে ফের বাংলার প্রতিনিধি। রাজা বেঙ্কটের পর এ বার দেবাঙ্গ গাঁধী। জাতীয় দলে বাংলা থেকে সাপ্লাইলাইন বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে যিনি নির্বাচক কমিটিতে এলেন, সেই দেবাঙ্গ বলছেন, ‘‘বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছি, তখন নির্বাচক হিসেবেও বাংলার জন্য কিছু করার চেষ্টা করব। তবে যেহেতু আমি এখন জাতীয় নির্বাচক, তাই সারা দেশের ক্রিকেটারদের দিকেই নজর থাকবে আমার।’’
প্রথা ভেঙে যেমন আবেদন চেয়ে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নির্বাচক বাছাই করা হল, তেমন অঞ্চলভিত্তিক নির্বাচক প্রথা ভাঙা হল কি না, তা অবশ্য জানায়নি বোর্ড। প্রেস রিলিজে অবশ্য নির্বাচকদের নামের পাশে তাদের রাজ্য বা অঞ্চলের নাম নেই। যা আগে থাকত। বুধবার বোর্ডের এজিএমে যে পাঁচ সদস্যের সিনিয়র নির্বাচক কমিটি গঠন করা হল, তাতে পাঁচ অঞ্চলেরই পাঁচ প্রাক্তন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে। বাংলার দেবাঙ্গ ছাড়াও রয়েছেন রাজস্থানের গগন খোদা, মহারাষ্ট্রের যতীন পরাঞ্জপে ও পঞ্জাবের শরণদীপ সিংহ। কমিটির চেয়ারম্যান অন্ধ্র প্রদেশের এমএসকে প্রসাদ। এই পাঁচ নির্বাচকের মিলিতভাবে অভিজ্ঞতা ১৩ টেস্টের। ভারতীয় দলের প্রাক্তন পেস বোলার ও পেস বোলিং কোচ বেঙ্কটেশ প্রসাদকে যেখানে জুনিয়র নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে, সেখানে ছ’টা টেস্ট খেলা প্রাক্তন উইকেটকিপার এমএসকে প্রসাদ সিনিয়র নির্বাচক কমিটির প্রধানের দায়িত্বে। শিবসুন্দর দাসকে টপকে কমিটিতে আসা দেবাঙ্গ এ দিন বলেন, ‘‘গত তিন বছর ধরে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে টিভি কমেন্ট্রির কাজ করেছি। বাংলার নির্বাচক হিসেবেও ছিলাম। এই অভিজ্ঞতাটা আমার কাজে লাগবে। তা ছাড়া কমিটির অন্যদের সঙ্গে এক সময়ে খেলেছি। তাই সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy