Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হতাশা যাচ্ছে না রাহুলের

ধোনিভাই ভরসা দিয়েছিল শেষ দিকে রান উঠে যাবে

তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরি দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরেও হারতে হওয়ায় মন খারাপ লোকেশ রাহুলের। বলছেন, ‘‘অ্যাপ্রোচটা খুব ভাল ছিল। কিন্তু রেজাল্টটা খুব হতাশাজনক।’’ শনিবার শেষ বলে দু’রান দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যাওয়ায় আর জেতা হয়নি তাঁদের।

শনিবারের ম্যাচে ধোনি ও রাহুল।

শনিবারের ম্যাচে ধোনি ও রাহুল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৫২
Share: Save:

তাঁর অপরাজিত সেঞ্চুরি দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরেও হারতে হওয়ায় মন খারাপ লোকেশ রাহুলের। বলছেন, ‘‘অ্যাপ্রোচটা খুব ভাল ছিল। কিন্তু রেজাল্টটা খুব হতাশাজনক।’’

শনিবার শেষ বলে দু’রান দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যাওয়ায় আর জেতা হয়নি তাঁদের। উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়ে পড়েন রাহুল। ভারতকে জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে দিতে তাঁর ৫১ বলে ১১০-এর ইনিংসের অবদানই সবচেয়ে বেশি ছিল। ম্যাচের শেষে বিসিসিআই ওয়েবসাইটকে রাহুল বলেন, ‘‘হারাটা সবসময়ই হতাশার। তার উপর এ ভাবে হারা। তবে ভাল ব্যাপারটা হল, এত বড় রান ওঠা সত্ত্বেও আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৫ তোলার পর আমরা ড্রেসিংরুমে বসে ঠিক করি, যে যতটা পারব ইনিংসটা টেনে নিয়ে যাব। সবাই সেই চেষ্টাই করেছে। এটা সত্যিই ভাল।’’

শেষ ওভারে জেতার জন্য আট রান দরকার ছিল ভারতের। তখন তাঁর সঙ্গে ধোনির পার্টনারশিপ নিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘যখনই ধোনিভাই ব্যাট করতে নামে, তখনই জানতাম আমাকে দিয়ে প্রচুর রান করাবে ও। আমি তখন কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তখন ওভারে ১৩ করে রান দরকার। কিন্তু ধোনিভাই সমানে আমাকে তাতিয়ে যাচ্ছিল। ও বলল, ১৬ ওভার পর্যন্ত ১১-১২ করে রান তুললেই চলবে। শেষ দিকের ওভারে বাকিটা তুলে নেওয়া যাবে। কারণ, ওদের প্রধান বোলারদের ওভারের কোটা শেষ হয়ে আসছিল।’’

ভারতীয় জুটি এই পরিকল্পনা নিয়েই একদম লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে যায়। রাহুল বলেন, ‘‘এটাই ছিল প্ল্যান। ১১-১২ করে প্রতি ওভারে তোলাটা এমন কিছু কঠিন ছিল না। কিন্তু ম্যাচটা এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যে, যে কোনও রেজাল্ট হতে পারত।’’

ক্যাপ্টেন কুল অবশ্য শেষ বলে নিজের ভুল কার্যত স্বীকারই করে নেন। ধোনি বলেন, ‘‘ক্রিকেটে ভাবনাটা কার্যকর করাই আসল ব্যাপার। বোলার কী বল করবে, সেই অনুযায়ী শট খেলাটাই আসল কথা। বোলার কী রকম বল করতে পরে, সেটা আগাম আন্দাজ করে নেওয়াটাই এখানে আসল ব্যাপার। এখানেই গোলমালটা হয়েছে। তা ছাড়া ডেথ বোলিংয়ে ডোয়েন ব্র্যাভোকে সামলানো বরাবরই বেশ কঠিন। অন্যতম সেরা ডেথ বোলার বলা যায় ওকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE