বাংলার ক্রিকেটে সারা জীবনের অবদানের জন্য এ বার দিলীপ দোশীকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিল সিএবি।
রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে যেমন প্রতি বছর একজন করে কিংবদন্তিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়, এ বারও সে রকমই সম্মান দিলীপ দোশীকে দেওয়া হবে বলে ঠিক হল মঙ্গলবার। কিন্তু সংবর্ধনা মঞ্চে তিনি থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার সিএবি-কে তিনি জানিয়েছেন, জুলাইয়ের শেষে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবেন বলে হয়তো সিএবির বার্ষিক অনুষ্ঠানে হয়তো নাও আসতে পারেন। সিএবি-র ইতিহাসে যা কখনও হয়নি বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
এ দিন সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া, যুগ্মসচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ সিএবি-র শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে দিলীপ দোশীর নামটি সর্বসম্মত ভাবে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যওয়ার্ডের জন্য ঠিক হওয়ার পর যখন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত তাঁকে লন্ডনে ফোন করেন, তখন এই কথাই জানান দোশী। সন্ধ্যায় লন্ডনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলার এই প্রাক্তন বাঁ হাতি স্পিনার আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘আমাকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে শুনে খুবই ভাল লাগছে। বাংলার ক্রিকেটের জন্য যেটুকু করতে পেরেছি, তার স্বীকৃতি পাওয়া অবশ্যই বড় ব্যাপার। কিন্তু জুলাইয়ের শেষে এই অনুষ্ঠান হলে কলকাতায় গিয়ে তা নিতে পারব কি না, বলতে পারছি না। ওই সময় আমার কাজের খুব চাপ থাকবে। হয়তো ওই সময় জেনিভায় থাকতে হবে আমাকে। সঠিক তারিখটা না জেনে অবশ্য চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলতে পারব না। তাই গৌতমবাবুকে কথা দিতে পারিনি।’’
এ দিন গৌতমবাবু বলেন, ‘‘হ্যাঁ, উনি আমাকেও একই কথা বলেছেন। তবে উনি না আসতে পারলে ওঁর হয়ে অন্য কেউ সেই সম্মান নেবেন।’’ সিএবি-র ইতিহাসে যে এমন ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি, তাও জানিয়ে দিলেন এই বর্ষীয়ান কর্তা। কিন্তু আগে থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলে দোশীর নাম বাছা হল না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘‘পুরস্কার প্রাপক থাকতে পারবেন কি না, তা জেনে তবে তাঁর নাম ঠিক করার চল সিএবি-তে নেই। অন্যান্য বার যাঁরা এই সম্মান পেয়েছেন, তাঁদের নাম আগে ঠিক করে তার পরই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’ কিন্তু কোনওবারই বিদেশে থাকা কাউকে এই সম্মান দেওয়া হয়নি। এ কথাটা সম্ভবত মাথায় রাখেননি সিএবি কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy