পরপর দু’ ম্যাচ জিতে পড়শি ক্লাব পয়েন্ট টেবলে এগোতে শুরু করেছে। স্বভাবতই শনিবার ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে মেহতাব হোসেন-নারায়ণ দাসরা জয়ের জন্য রীতিমতো ছটফট করছেন।
পুণের টিমে আবার সঞ্জু প্রধান, নির্মল ছেত্রীদের মতো মর্গ্যানের প্রাক্তন ছাত্ররা রয়েছেন। যাঁরা ব্রিটিশ কোচের স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে ভালই পরিচিত। সঙ্গে শুক্রবারই অভিজ্ঞ গৌরমাঙ্গি সিংহ, প্রতিশ্রুতিমান সেইত্যাসেন সিংহকে সই করিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়াল শিবাজিয়ান্স। ইস্টবেঙ্গলের জন্য অবশ্য সুখবর, ভারতের অন্যতম সেরা গোলকিপার সুব্রত পাল চোটের জন্য সম্ভবত খেলবেন না। আগের মুম্বই এফসি ম্যাচেও খেলেননি তিনি।
ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে আইজলের সঙ্গে ড্র করেছে। ফিজিওবিহীন টিমের ফুটবলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স, কোচের দল গঠন নিয়ে কর্তাদের ফিসফাস, দলে বোঝাপড়ার অভাব, গোল করার লোক খুঁজে না পাওয়া— সব মিলিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড নিজেদের চেনা ছন্দে নেই আপাতত। কলকাতা ছাড়ার আগে কোচ মর্গ্যানও হতাশ গলায় বলেছিলেন, ‘‘টিমের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি মেরামত করা যায় ততই ভাল।’’ আইজল ম্যাচের পর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেই বোঝাপড়া বাড়ানোর কাজই করে গিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ। শুক্রবার পুণেতে তাঁকে ফোনে ধরা হলে তিনি অবশ্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলে দিলেন, ‘‘আমার ছেলেরা উঠে দাঁড়াবেই। সবাই তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য মরিয়া। শিবাজিয়ান্স ম্যাচ থেকে জিতে ফিরতে চাই।’’
শনিবার মর্গ্যান টিমে অনেক পরিবর্তন করছেন বলে খবর। আইজল ম্যাচে মহম্মদ রফিককে সামনে রেখে এক স্ট্রাইকারে টিম সাজিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে সনির দেশের ওয়েডসন ছিলেন একমাত্র বিদেশি, যিনি প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন। পুণে থেকে যে খবর আসছে তাতে শিবাজিয়ান্সের বিরুদ্ধে তিন বিদেশি নিয়ে শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। এক স্ট্রাইকারের পরিবর্তে সম্ভবত প্লাজার সঙ্গে রবিন সিংহ বা হাওকিপকে জুড়ে দুই স্ট্রাইকারে খেলার কথা ভাবছেন কোচ। অন্তত এ দিনের অনুশীলনে সে রকমই ইঙ্গিত। গুরবিন্দরের জায়গায় দলে ঢুকতে পারেন বুকেনিয়া। অবিনাশ রুইদাস অনূর্ধ্ব-২২ হিসেবে প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন। শোনা যাচ্ছে, পুরো ফিট হয়ে ওঠা লালরিন্দিকাও টিমে ঢুকতে পারেন। মর্গ্যান বললেন, ‘‘আগের ম্যাচে মাত্র একজন স্ট্রাইকার পেয়েছিলাম। এ বার চার জন স্ট্রাইকার হাতে রয়েছে।’’ এর মধ্যে আবার শুক্রবারই কলকাতায় এসে পড়লেন মর্গ্যানের ইস্টবেঙ্গলের চতুর্থ বিদেশি— আমিরভ।
শুক্রবার পুণের হোটেলে বসে মোহনবাগান-আইজল ম্যাচ দেখেছেন মর্গ্যান। মনে যাই থাকুক, মুখে অবশ্য লাল-হলুদ কোচ বলছেন, ‘‘আমি অন্য ক্লাব নিয়ে ভাবছি না। নিজেদের টিমেই ফোকাস করতে চাই। শিবাজিয়ান্স নিয়ে এখন ভাবছি। ওরা কিন্তু বেশ ভাল টিম।’’ মর্গ্যান পুণের এই ম্যাচকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছেন, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ২২ জনের টিম নিয়ে পুণে গিয়েছেন। তবে পরপর দু’ ম্যাচে মোহনবাগানের জয় কিছুটা হলেও চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে লাল-হলুদের উপর। ফোনে কথা বলে সেরকমই মনে হচ্ছে। সে লিগের দু’ নম্বর ম্যাচকেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা মরণ-বাঁচন ম্যাচ বলছেন। ফুটবলারদের কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই নাম দেওয়া যাবে না এই শর্তে এক ফুটবলারের বলেই দিলেন, ‘‘এই ম্যাচ না জিততে পারলে কিন্তু আমরা বড় সমস্যায় পড়ব।’’
শনিবারে আই লিগ
ইস্টবেঙ্গল: ডিএসকে শিবাজিয়ান্স (পুণে, ৭টা)
বেঙ্গালুরু এফসি: চেন্নাই সিটি এফসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy