Advertisement
E-Paper

জিতেও ক্ষোভ ইস্টবেঙ্গলের

রেনবোকে হারানোর পরে উল্লসিত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও। খেলা শেষ হতেই রেড রোডের দিকের গ্যালারিতে জ্বলে উঠল লাল-হলুদ রংমশাল। জয়ধ্বনি উঠল ইস্টবেঙ্গল কোচ ও তাঁর স্পেনীয় খেলোয়াড়দের নামেও।

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৫১
লড়াই: মার্কোসকে আটকানোর চেষ্টায় রেনবোর ফুটবলার। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে কলকাতা লিগে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

লড়াই: মার্কোসকে আটকানোর চেষ্টায় রেনবোর ফুটবলার। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে কলকাতা লিগে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ইস্টবেঙ্গল ১

রেনবো ০

স্বস্তির তিন পয়েন্ট পেয়ে লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গলও!

শুক্রবার ঘরের মাঠে রেনবোকে ১-০ হারিয়েই আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দলের চোখ পরবর্তী মহমেডান ম্যাচে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেই আভাসই দিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের স্পেনীয় ফুটবলার মার্তি ক্রেসপি। বলে দিলেন, ‘‘এই লিগে অনেক কিছু হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য, পরের দু’টি ম্যাচ জিতে খেতাবের দৌড়ে নিজেদের রেখে দেওয়া।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘মার্কোসের সঙ্গে ঘরে বসে বৃহস্পতিবার মহমেডানের ম্যাচ দেখেছি। ওদের কিছু শক্তি-দুর্বলতা আমাদের চোখে পড়েছে। মহমেডানকে হারাতেই হবে।’’

রেনবোকে হারানোর পরে উল্লসিত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও। খেলা শেষ হতেই রেড রোডের দিকের গ্যালারিতে জ্বলে উঠল লাল-হলুদ রংমশাল। জয়ধ্বনি উঠল ইস্টবেঙ্গল কোচ ও তাঁর স্পেনীয় খেলোয়াড়দের নামেও। এ দিনের ম্যাচের পরে ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট হল রেনবোর। অবনমনের হাতছানি সৌমিকের দলের সামনে। অন্য দিকে, ম্যাচ জিতে ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসায় খুশিতে উদ্বেল
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা।

রেনবোর বিরুদ্ধে এ দিন আগের ম্যাচের ছয়জনকে বদলে দিয়েছিলেন আলেসান্দ্রো। বদলে মার্কোস, মার্তি ক্রেসপি, রোনাল্ডো অলিভিয়েরাদের দলে রেখেছিলেন। তাই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কর্দমাক্ত মাঠে গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি পিন্টু মাহাতো, মার্কোসরা। কাদা থকথকে মাঠে তাই বল তুলে খেলার রণনীতি নিয়েছিলেন আলেসান্দ্রো। কিন্তু তা রুখে দেওয়ার জন্য রেনবোর মাঝমাঠ সে ভাবে কার্যকর ছিল না। তাদের রক্ষণ ও মাঝমাঠের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছিল। ফলে বারবার ‘সেকেন্ড বল’-এর দখল হারাচ্ছিল তারা। এই পরিস্থিতিতে ৩৫ মিনিটে রোনাল্ডো বিপক্ষ বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়লে তাঁকে ফাউল করেন বিপক্ষের সুজয় দত্ত। রেফারি সঙ্গত কারণেই পেনাল্টি দিলে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ১-০ করেন মার্কোস।

দ্বিতীয়ার্ধে কোলাদো ও ব্রেন্ডনকে নামিয়ে বিপক্ষের উপরে চাপ বাড়াতে চেয়েছিলেন আলেসান্দ্রো। কিন্তু রেনবো প্রতি-আক্রমণে আসায় ইস্টবেঙ্গল কোচের সেই চাল কার্যকর হয়নি সে ভাবে। এই সময়েই রেনবোর কাজ়িমের শট পোস্টে লেগে ফেরে।

ম্যাচ জিতলেও মাঠ নিয়ে অসন্তোষ দূর হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলের। কোচ এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে না এলেও মার্তি বলে গেলেন, ‘‘এই মাঠে দাঁড়ানোই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। খেলা তো আরও কষ্টকর। মহমেডানের বিরুদ্ধে সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পাব। তাই আমাদের সেরাটা দিতে সমস্যা হবে না।’’

এ দিন ম্যাচের আগেই ঘোষণা করা হল, শতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে সকলের ব্যবহারের জন্য একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স আসতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলে। জয়ের দিনে ক্লাবের এই ঘোষণাও খুশি বাড়াচ্ছে লাল-হলুদ সমর্থকেদের।

ইস্টবেঙ্গল: লালথুম্মেউইয়া রালতে, আসির আখতার, মার্তি ক্রেসপি, সামাদ আলি মল্লিক অভিষেক আম্বেকর, , টনদোম্বা সিংহ নওরেম (লালরিনডিকা রালতে), রোহলুপুইয়া, হোয়ান মেরা গঞ্জালেস, পিন্টু মাহাতো (ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকা), মার্কোস এস্পারা মার্টিন (খাইমে সান্তোস কোলাদো), রোনাল্ডো অলিভিয়েরা।

রেনবো: অঙ্কুর দাস,রিচার্ড আগৌউ, প্রদীপ পাত্র, শুভঙ্কর কংসবণিক, ছোট্টু মণ্ডল, অভিজিৎ সরকার (আকাশ দত্ত), সূরজ মাহাতো (পল্টু দাস), সুজয় দত্ত (সৌরভ মণ্ডল), কাজ়িম আমোবি, ফেলিক্স চিডি।

East Bengal NBP Rainbow
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy