তারকা: রিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী মারিন চোট সারিয়ে আবার স্বমহিমায়। —ফাইল চিত্র।
প্রশ্ন: ভারত আপনার কাছে ‘সেকেন্ড হোম’। মানে আপনি আগেও বলেছেন, স্পেনের পরে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন ভারতে খেলতে। সেই টানেই কি পিবিএলে আসা?
ক্যারোলিনা মারিন: ভারতে আমার অনেক ভক্ত রয়েছে। এখানকার মানুষ আমায় এতটা ভালবাসে, এত সমর্থন করে যে ভারতে আসলে মনে হয় যেন নিজের দেশেই খেলছি। পিবিএলের ক্ষেত্রেও সেটা বলা যায়। তা ছাড়া আমার কাছে পিবিএল শুধু একটা প্রতিযোগিতা নয়, খুব মজাও করি আমরা এখানে। বিশ্বের বিভিন্ন খেলোয়াড়দের সঙ্গে একই দলে থাকার অভিজ্ঞতাও বড় প্রাপ্তি।
প্র: এ মরসুমে চোটের জন্য আপনি বেশ কয়েকটা টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি। এটাই আপনার চোট থেকে ফেরার পরে প্রথম টুর্নামেন্ট। কী ভাবে দেখছেন এই প্রত্যাবর্তন?
মারিন: প্রত্যেক প্লেয়ারের কাছেই পিবিএল অনেক কিছু শেখার মঞ্চ। বড় প্লেয়াররা কী ভাবে প্র্যাকটিস করে, কী ভাবে ফিটনেস ধরে রাখে, সেটা জানা যায়। ফ্যানরাও নামী-দামি খেলোয়াড়দের একসঙ্গে লড়াই করতে দেখার সুযোগ পায়। আশা করছি আমি নিজের সেরাটা দিতে পারব। একই সঙ্গে পরীক্ষা করে নিতে পারব নিজের ফিটনেস।
প্র: আপনার কি মনে হয় পিবিএল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খেলোয়াড়দের আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দিয়েছে?
মারিন: অবশ্যই। আমি আগেও বলেছি, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা পিবিএলে লড়াই করে বলে প্রতিযোগিতার মানটা খুব উচু। তাই কোনও দলের পক্ষেই টুর্নামেন্ট জেতাটা সহজ নয়।
প্র: পিবিএলে যে মানের লড়াই হয়, আপনার কি মনে হয় পুরস্কারমূল্য আরও বাড়ানো উচিত?
মারিন: দেখুন আমি পুরস্কারমূল্য নিয়ে মাথা ঘামাই না। পিবিএল আমাকে একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেয়। কোর্টে লড়াই করার সুযোগ পাই। সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।
প্র: পি ভি সিন্ধুর সঙ্গে আপনার রেষারেষি অলিম্পিক্স ফাইনালের পরে আরও বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। সাইনা নেহওয়ালের সঙ্গেও আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম নয়। আপনার কাছে এই দু’জনের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী কে?
মারিন: আমার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী আমি নিজে (বলেই হেসে ফেললেন)। আসলে ওরা দু’জনই খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। দু’জনের খেলার ধরন আলাদা। ওদের বিরুদ্ধে নামার সময় আমায় প্রত্যেকবার নতুন স্ট্র্যাটেজি কষে নিতে হয়।
প্র: আপনি ভারতে এত জনপ্রিয়। সিন্ধু আর সাইনা স্পেনে কতটা জনপ্রিয়?
মারিন: স্পেনে ব্যাডমিন্টন অতটা জনপ্রিয় নয়। তাই আমার মনে হয় না সিন্ধু-সাইনার জনপ্রিয়তা খুব বেশি ওখানে। আমাকেই লোকে বেশি চেনে স্পেনে।
প্র: আপনার অলিম্পিক্সে সাফল্যে দেখে পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড়রা কতটা অনুপ্রেরণা পেয়েছে? স্পেনের জুনিয়র খেলোয়াড়দের কাছে মারিনের স্থান এখন কোথায়?
মারিন: আমি অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ছবিটা কিছুটা পাল্টেছে। অনেকে উঠে আসছে। ব্যাডমিন্টনকে কেরিয়ার হিসেবে নেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। কয়েক জন জুনিয়র প্লেয়ারের সঙ্গে আমি খেলেছি স্পেনে। তারা বেশ ভাল। আশা করছি ওরা খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সাফল্য পাবে।
প্র: এখন বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টেই তুমুল লড়াই হয়। এই চ্যালেঞ্জটা সামলানো কতটা কঠিন?
মারিন: মেয়েদের সিঙ্গলসে এখন প্রথম ১০ জন খেলোয়াড় প্রায় সমান। যে কেউ যে কোনও দিন প্রথম দশে থাকা প্রতিপক্ষকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। যে কেউ বিশ্ব পর্যায়ের টুর্নামেন্ট জিততে পারে। এই প্রবল প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গেলে নিজের খেলায় নিত্যনতুন সৃষ্টিশীলতা আনতে হয়। না হলে সাফল্য পাওয়া খুব মুশকিল।
প্র: শেষ প্রশ্ন। ব্যাডমিন্টনের বাইরে একটা বিষয় নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই। স্পেনে ক্যাটালোনিয়া আন্দোলন নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সে ব্যাপারে আপনার কি মত?
মারিন: এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না। (বলেই কোচের সঙ্গে আসন্ন টাইয়ের পরিকল্পনা কষতে কষতে বিশ্রাম নিতে চলে গেলেন অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy