Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Lionel Messi

একা মেসি নন, আর্জেন্টিনার ভরসা এ বার তরুণরাও, পড়ে নিন আনন্দবাজার অনলাইনে

সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা নিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে নামছে আর্জেন্টিনা। তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলাই তাদের লক্ষ্য। সেই স্বপ্ন পূরণে তাদের ভরসা মেসিই।

সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা নিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে নামছে আর্জেন্টিনা।

সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা নিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে নামছে আর্জেন্টিনা। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৫:২৫
Share: Save:

২০১৪ সালে অল্পের জন্য বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা নিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে নামছে আর্জেন্টিনা। তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলাই তাদের লক্ষ্য। আর সেই স্বপ্ন যিনি পূরণ করতে পারেন, সেই লিয়োনেল মেসিও এ বার মরিয়া। পঞ্চম বার বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন তিনি। কিন্তু আগের চার বারই কাপ তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফুটবলজীবনের শেষ বিশ্বকাপ এটাই। তাই তা স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার। রাশিয়া বিশ্বকাপে একার হাতে দলকে মূলপর্বে তুলেছিলেন। এ বার তাঁকে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয়নি। ব্রাজিলের পিছনেই শেষ করেছে দল। কিন্তু মূলপর্বেই লড়াই সব কিছুর থেকে আলাদা। গত বার আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র কেউই ভুলে যাননি। মেসিদের তাই লক্ষ্য, মসৃণ ভাবে গ্রুপ পর্ব পেরোনো, যাতে পরের দিকে গিয়ে দল কোনও ভাবে চাপে না পড়ে।

সূচি

বনাম সৌদি আরব (২২ নভেম্বর, দুপুর ৩.৩০)

বনাম মেক্সিকো (২৬ নভেম্বর, রাত ১২.৩০)

বনাম পোল্যান্ড (৩০ নভেম্বর, রাত ১২.৩০)

পরিকল্পনা

এক সময় আর্জেন্টিনার দায়িত্ব কেউ নিতে চাননি। জর্জে সাম্পাওলি পদত্যাগ করার পর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ লিয়োনেল স্কালোনিকে অন্তবর্তিকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই স্কালোনির নেতৃত্বেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত তারা। শুধু তাই নয়, সাজঘরে স্কালোনির জনপ্রিয়তাও দারুণ। ২০১৯ কোপা আমেরিকা পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্বে রাখার কথা ভাবা হয়েছিল। বিশ্বকাপেও কোচ থেকে গিয়েছেন তিনি। স্কালোনির সবচেয়ে বড় গুণ হল, তরুণদের মধ্যে প্রতিভা চেনার ক্ষমতা, যা তিনি শিখেছেন যুব দলের কোচ থাকাকালীন। একাধিক তরুণ ফুটবলার রয়েছে এ বারের আর্জেন্টিনা দলে, যাঁরা চমকে দিতে পারে। গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেসই হোক বা ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, স্কালোনি সবাইকে সুযোগ দিয়েছেন। তুলে এনেছেন রদ্রিগো দে পলের মতো প্রতিভা। ফলাফল? কোপা আমেরিকা এবং ফাইনালিসিমা জয়। মেসির পকেটে দু’টি আন্তর্জাতিক ট্রফি। যে ভাবে দলকে এত দিন সাফল্য দিয়েছেন, বিশ্বকাপেও সেই একই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে চান স্কালোনি। ফলে এ বার শুধু মেসি নন, দল নির্ভর করছে তরুণদের উপরেও।

প্রধান ফুটবলার

লিয়োনেল মেসি ছাড়া আর কারও নামই করা যায় না। ৩৫ বছর বয়স হলেও তিনিই দলের প্রধান ফুটবলার। ক্যাবিনেটে বিশ্বকাপ বাদে সবই আছে। অধরা সেই ট্রফিই এ বার পেতে মরিয়া মেসি। এত সাফল্য পেয়েও এখনও পর্যন্ত নিজের দেশে প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনায় ছায়াতেই ঢেকে থেকেছেন। একটা বিশ্বকাপ তাঁকে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের তকমা দিতে পারে। আগের মতো ক্ষুরধার না হলেও, মেসির পায়ে বল থাকলে কথা বলাতে পারেনি। বিশ্বকাপে শেষ বার সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে প্রতিভাবান ফুটবলারকে দেখে নেওয়ার শেষ সুযোগ।

বিশ্বকাপের ইতিহাস

১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ সালে বিজয়ী। শেষ বার নিজের দেশেই, মারাদোনার হাত ধরে। এ ছাড়া ১৯৯০ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট। গত বার বিদায় শেষ ষোলোতে।

পুরো দল

এমিলিয়ানো মার্তিনেস, জেরোনিমো রুলি, ফ্রাঙ্কো আর্মানি (গোলকিপার); নাহুয়েল মোলিনা, গঞ্জালো মন্তিয়েল, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, জার্মান পেজেল্লা, নিকোলাস ওটামেন্ডি, লিসান্দ্রো মার্তিনেস, মার্কোস আকুনা, নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো, জুয়ান ফয়েথ (ডিফেন্ডার); রদ্রিগো দি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, গুইদো রদ্রিগেস, আলেসান্দ্রো গোমেজ, এনজ়‌ো ফের্নান্দেস, এজ়‌েকিয়েল পালাসিয়োস (মিডফিল্ডার); দি মারিয়া, লাউতারো মার্তিনেস, জুলিয়ান আলভারেস, অ্যাঙ্খেল কোরিয়া, থিয়াগো আলমাদা, পাওলো ডিবালা এবং লিয়োনেল মেসি।

সম্ভাব্য একাদশ (৪-১-২-৩):

মার্তিনেস, ট্যাগলিয়াফিকো, ওটামেন্ডি, লিয়ান্দ্রো, মোলিনা, পারেদেস, দে পল, ফের্নান্দেস, মেসি, দি মারিয়া, লাউতারো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE