Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
FIFA World Cup 2022

হাকিমিরাই এখন মরক্কোর জাতীয় নায়ক, দেশে ফেরার পর তাঁদের স্বাগত জানাল জনস্রোত

মরক্কো ষষ্ঠ বার ফুটবল বিশ্বকাপ খেলল। কাতারের আগে তাদের সেরা ফল ছিল ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছানো। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল মরক্কো।

বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরে নায়কের সম্মান পেলেন মরক্কোর ফুটবলাররা।

বিশ্বকাপের পর দেশে ফিরে নায়কের সম্মান পেলেন মরক্কোর ফুটবলাররা। ছবি: টুইটার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৫০
Share: Save:

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস তৈরি করলেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি আশরাফ হাকিমিদের। শেষ চারের লড়াইয়ের পর তৃতীয় স্থানের ম্যাচেও মরক্কোকে হারতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার কাছে। শেষটা ভাল হয়নি। তাও দেশের মানুষের কাছে নায়কের সম্মান পেলেন মরক্কোর ফুটবলাররা।

বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে দেশে ফেরা মরক্কোর ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। বিমানবন্দর থেকে হুড খোলা বাসে করে ফুটবলারদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানী রাবাতের প্রাণকেন্দ্রে। যাত্রা পথের দু’দিকে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন ফুটবলারদের স্বাগত জানানোর জন্য। রাবাতের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফুটবলারদের বাস ঘিরে রেখেছিলেন পুলিশ কর্মীরা।

জাতীয় পতাকা, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফুটবলপ্রেমীরা উৎসবে মাতেন। অনেকে এসেছিলেন ড্রাম নিয়ে। আনন্দে মাতোয়ারা বহু মানুষকে নাচতে বা লাফাতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ আবার আতসবাজি ফাটিয়েছেন। অনেকে ফুটবলারদের ছোঁয়ার চেষ্টা করছিলেন। যদিও নিরাপত্তার জন্য ফুটবলারদের কাছাকাছি কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। উচ্ছ্বসিত ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ছিলেন প্রচুর মহিলা এবং শিশুও। সকলেই দলের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ফুটবলারদের লড়াইয়ের প্রশংসা করছেন। চতুর্থ স্থানে শেষ করলেও মরক্কোর সাধারণ মানুষের কোনও আক্ষেপ নেই। ফুটবলারদের এখন জাতীয় নায়কের চোখে দেখছে দেশবাসী। সাধারণ মানুষের উন্মাদনায় আপ্লুত মরক্কোর কোচ, ফুটবলাররাও। হাসি মুখে হাত নেড়ে তাঁরা মানুষের আবেগ, ভালবাসার জবাব দেন। কয়েক জন ফুটবলার জনতার দিকে চুম্বন ছুড়ে দেন।

কাতার বিশ্বকাপের সেরা চমক মরক্কো। অনেক বিশেষজ্ঞেরই হিসাব বদলে দিয়েছে তারা। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসাবে প্রথমে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এবং পরে সেমিফাইনালে উঠেছেন হাকিমিরা। বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো ফুটবল বিশ্বের প্রথম সারির দলকে হারিয়েছেন তাঁরা। অথচ বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিশ্বের কোনও বিশেষজ্ঞই মনে করেননি মরক্কো গ্রুপের বাধা অতিক্রম করতে পারবে।

বিশ্বকাপে মরক্কোর এ বারের সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। একদা ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে থাকা মরক্কো এই নিয়ে ষষ্ঠ বার ফুটবল বিশ্বকাপ খেলল। কাতারের আগে তাদের সেরা ফল ছিল ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছানো। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল তারা। তাই এ বার মরক্কোর সাফল্য এক দিকে গোটা ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। অন্য দিকে, দেশে তৈরি করেছে উৎসবের পরিবেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE