পুজোর ছুটি কাটিয়ে সোমবার থেকে আইএফএ শিল্ডের প্রস্তুতি শুরু করে দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কিন্তু দেখা গেল না জেমি ম্যাকলারেন ও জেসন কামিংসকে। দুই অস্ট্রেলীয় তারকা এখনও ফেরেননি কলকাতায়। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে অস্বস্তি বাড়ছে নতুন বিদেশি জাপানের হিরোশি ইবোসুকিকে নিয়ে। তিনি এখনও ভারতে আসার ভিসা পাননি। ফলে আগামী ৮ অক্টোবর কল্যাণীতে আইএফএ শিল্ডের প্রথম ম্যাচে ডেকান এফসি-র বিরুদ্ধে খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই হিরোশির।
ভিয়েতনামে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কামিংস। সবুজ-মেরুন শিবিরের খবর তিনি কলকাতায় ফেরার বিমান ধরতে পারেননি। ম্যাকলারেন ফিরে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁর বিমান নাকি বাতিল হয়ে গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে আজ, মঙ্গলবার অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা মোহনবাগানের দুই অস্ট্রেলীয় তারকার। ম্যাকলারেন ও কামিংসকে ছাড়াই পুরোদমে শিল্ডের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কোচহোসে ফ্রান্সিসকো মলিনা।
আইএফএ শিল্ডে এ বার ‘এ’ গ্রুপে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে রয়েছে ডেকান এফসি ও নামধারী এফসি। ‘বি’ গ্রুপে মোহনবাগানের সঙ্গে রয়েছে গোকুলম এফসি এবং ইউনাইটেড স্পোর্টস। ৮ অক্টোবর, বুধবার কল্যাণীতে উদ্বোধনী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ডেকান এফসি। মশালবাহিনী অবশ্য নামধারী এফসি-র বিরুদ্ধে ১৪ অক্টোবর গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে। প্রশ্ন হচ্ছে হিরোশি কি পারবেন দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে? ইস্টবেঙ্গল কর্তারা জানাচ্ছেন, ভিসা সমস্যা মেটার পরেই বোঝা যাবে কবে কলকাতায় আসবেন জাপানি স্ট্রাইকার। জানা গিয়েছে, রিজ়ার্ভ দল নিয়ে শিল্ডে খেলতে আসছে ডেকান। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুসো তরুণদের উপরেই আস্থা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মোহনবাগান অভিযান শুরু করবে ৯ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে দিমিত্রি পেত্রাতসরা মুখোমুখি হবেন গোকুলম এফসি-র। গ্রুপের শেষ ম্যাচ মোহনবাগান খেলবে ১৫ অক্টোবর ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে। আইএফএ শিল্ডে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান আলাদা গ্রুপে থাকায় ফাইনালের আগে ডার্বি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই প্রধান ফাইনালে উঠলে ম্যাচ হবে যুবভারতীতে।
এ দিকে, আইএফএ শিল্ডের উদ্বোধনকে আকর্ষণীয় করে রাখতে একাধিক পরিকল্পনা আইএফএ-র। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঢাক বাজাবেন মহিলারা। ওড়ানো হবে বেলুনও। ফাইনাল ছাড়া কোনও ম্যাচেই প্রবেশমূল্য নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)