মোহনবাগান-ওড়িশা ম্য়াচের একটি মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
যুবভারতীতে ওড়িশাকে হারাল মোহনবাগান। দু’পর্ব মিলিয়ে ৩-২ গোলে জিতে আইএসএলের ফাইনালে উঠল বাগান।
সংযুক্তি সময়ে গোল করলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। দীর্ঘ দিন পরে বাগান জার্সিতে নামেন তিনি। মনবীরের ক্রস ধরে গোল করেন সাহাল। কোনও রকমে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এই ফল থাকলে আইএসএলের ফাইনালে উঠবে বাগান।
আবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাগান। সংযুক্তি সময়ে বক্সে বল পান কিয়ান। তাই শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে অতিরিক্ত সময়ের দিকে এগোচ্ছে খেলা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে আর কয়েক মিনিট বাকি।
পরের মিনিটেই বাগান বক্সে আক্রমণ তুলে আনে ওড়িশা। কোনও রকমে সেই আক্রমণ থামান বাগান ডিফেন্ডারেরা। আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা চলছে। গোল করতে মরিয়া দু’দলই।
পেত্রাতোসের কর্নার থেকে ভাল হেড করেছিলেন হেক্টর। কোনও রকমে ঝাঁপিয়ে বাঁচান অমরিন্দর।
মনবীর সিংহের ক্রসে ভাল ভাবে মাথা ছোঁয়াতে পারলেই গোল হত। কিন্তু থাপার হেড ঠিক ভাবে হয়নি। ফলে বল পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। একের পর এক সুযোগ নষ্ট করছে বাগান। এতে পরে সমস্যায় পড়তে পারে তারা।
দ্বিতীয় গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল মোহনবাগান। ডান প্রান্ত ধরে ওঠেন মনবীর সিংহ। বাঁ দিকে কামিংস অরক্ষিত ছিলেন। মনবীর ক্রস করলেই ফাঁকায় গোল করতে পারতেন কামিংস। মনবীর ক্রস বাড়াননি।
বিরতির পরে চাপ বাড়িয়েছিল ওড়িশা। বাগান বক্সে ঢুকে পড়ে তারা। শট মারেন জেরি। ভাল বাঁচান বিশাল।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষে সমতা ফেরানোর ভাল সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশার। রয় কৃষ্ণের ক্রস ধরে ভাল হেড করেন ওড়িশার ফুটবলার ইসাক। বিশাল কাইথ ঠিক জায়গায় ছিলেন না। বল গোলের দিকে যাচ্ছিল। গোল লাইন সেভ করেন হেক্টর ইয়ুস্তে।
জনি কাউকো ও জেসন কামিন্সের যুগলবন্দিতে ভাল বল পেয়েছিলেন পেত্রাতোস। কিন্তু বক্সের মধ্যে দেরি করে ফেলেন তিনি। নইলে দ্বিতীয় গোল পেতে পারত বাগান।
বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু ওড়িশার গোলকিপার লিস্টনের শট বাঁচিয়ে দিলেন।
কামিংসের কাছে আরও একটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে তাঁর শট বিপক্ষ গোলকিপার সহজেই ধরে নেন। মোহনবাগানের চাপ এখনও অব্যাহত।
এগিয়ে গেল মোহনবাগান। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে জোরালো শট মারেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই বল ধরেন ওড়িশার গোলরক্ষর অমরিন্দর সিংহ। ফিরতে বলে গোল করেন জেসন কামিন্স। ক্রমাগত চাপ বাড়ানোর ফল পেল বাগান। এই গোলের ফলে দু’পর্ব মিলিয়ে খেলার ফল এখন ২-২।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খেলায় ফিরছে ওড়িশা। আহমেদ জাহু ও রয় কৃষ্ণের হাত ধরে কয়েক বার বাগান বক্সে আক্রমণ তুলেছে তারা। চাপ বেড়েছে বাগান রক্ষণে। কিন্তু ওড়িশাও গোল করতে পারেনি।
খেলার প্রথম মিনিট থেকেই চাপ বাড়াচ্ছে মোহনবাগান। শুরুর চার মিনিটের মধ্যে তিন বার ওড়িশা বক্সে ঢুকেছেন বাগান ফুটবলারেরা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা।
আইএসএলের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হেরেছে মোহনবাগান। ওড়িশা এফসির ঘরের মাঠে ১-২ গোলে হারতে হয়েছে তাদের। ফাইনালে উঠতে হলে দ্বিতীয় লেগে জিততেই হবে সবুজ-মেরুনকে। ১ গোলের ব্যবধান থাকলে খেলা গড়াবে টাইব্রেকারে। বাগান চাইছে, ৯০ মিনিটেই খেলার ফয়সালা করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy