বিতর্কের কেন্দ্রে র্যান্টি ও বলজিৎ।
খারাপ পারফরম্যান্সের জের আছড়ে পড়ছে ইস্টবেঙ্গল ড্রেসিংরুমে। এতটাই প্রাবল্য যে, শিলংয়ে রয়্যাল ওয়াহিংডো ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে লাল-হলুদের দুই তারকা ফুটবলার মারমুখী মেজাজে তেড়ে গিয়েছিলেন একে অপরের দিকে। শেষমেশ কোচ ও দু’-একজন সতীর্থ ফুটবলারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সোমবার ইস্টবেঙ্গলের বেশ কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছেন, গত মঙ্গলবার আই লিগ ম্যাচ শেষে গণ্ডগোলে জড়ানো ওই দুই ফুটবলার হলেন র্যান্টি মার্টিন্স এবং বলজিৎ সিংহ সাইনি।
কী হয়েছিল সে দিন ম্যাচের পর? পুরো ঘটনার সাক্ষী এক ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারের দাবি অনুযায়ী, ডার্বিতে সুযোগ নষ্ট করে হারার পর মুষড়ে ছিলেন ডুডু-র্যান্টিরা। পরের রয়্যাল ওয়াহিংডো ম্যাচেই আধঘণ্টার ভেতর পিছিয়ে যাওয়ায় সেই হতাশা আরও বাড়ে। দ্বিতীয়ার্ধে তুলুঙ্গার জায়গায় বলজিৎ নামতেই অনভিপ্রেত ঘটনার নাকি সূত্রপাত। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক টিমের ওই সিনিয়র ফুটবলার এ দিন বললেন, ‘‘খেলার শেষের দিকে ডুডু-র্যান্টির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় চলছিল বলজিতের। ভেবেছিলাম মাঠের ঘটনা মাঠেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ড্রেসিংরুমে ফিরে র্যান্টি তেড়ে যায় বলজিতের দিকে। বলজিৎও পাল্টা উত্তেজিত ভাবে র্যান্টির দিকে কিছু বলতে বলতে এগিয়ে যায়। দু’জনের হাতাহাতি থামাতে আর এক সিনিয়র সতীর্থ ফুটবলার ছুটে এসে ওদের দু’জনকে সরিয়ে দেয়।’’
জানা গিয়েছে, ম্যাচ হেরে দুই ফুটবলারের ওই মারমুখী মেজাজের জন্য দু’জনকেই তীব্র ভর্ৎসনা করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ সতৌরি। তিনি নাকি তাঁদের বলেন, ‘‘নিজেদের ইগো বিসর্জন দিয়ে টিমের জন্য মাঠে বরং এই আগ্রাসী মেজাজটা দেখিয়ে তিন পয়েন্ট আনার চেষ্টা করো। ড্রেসিংরুমের শান্তি নষ্ট কোরো না।’’
ঘটনার পর স্বভাবতই প্রকাশ্য মুখে কুলুপ লাল-হলুদ শিবিরের। আই লিগে কল্যাণী ভারত এফসি ও পুণে এফসি-র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে র্যান্টিরা এখন পুণেতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দলে জায়গা হয়নি এটিকের হয়ে প্রায় নিয়মিত আইএসএলে খেলা বলজিতের। লক্ষ্যণীয় এটাও েয, পুণে সফর থেকেই কর্মসমিতির দুই সদস্যকে দলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। এ দিন ফোনে বলজিৎ পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘‘এ সব কোথা থেকে জানলেন? এ ব্যাপারে আমি কোনও কথা বলব না।’’ ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘বিষয়টা এখনও জানি না। যদি এ রকম কিছু হয়েও থাকে, তা হলে বলব ড্রেসিংরুমে অনেক কিছুই হয়। সেগুলোকে আমরা উপেক্ষা করি। প্রয়োজনে ওই দুই ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy