Advertisement
E-Paper

ইও-ইও টেস্ট এ বার আইপিএল-এও

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাব এবং রাজস্থান রয়্যালস এই নতুন পদ্ধতিকেই বেছে নিয়েছে। যেখানে বাকি চার দল পুরনো পদ্ধতিতেই দলের ফিটনেস মেপে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ১৮:৪৩

আইপিএল-এও এ বার ইও-ইও টেস্টের সামনে ক্রিকেটাররা। খেলতে হলে নিজেদের ফিটনেস প্রমাণ করেই নামতে হবে সবাইকে। সে তিনি বিরাট কোহালি হোক বা ক্রিস গেল। এই মরসুম থেকেই আইপিএল-এও চালু হয়ে গেল খেলোয়াড়দের শারীরিক দক্ষতা পরিমাপের এই অভিনব পরীক্ষা। তবে এখনও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। চারটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দল গড়ার পরেই প্লেয়ারদের দক্ষতা মেপে নিয়েছে এই ইও-ইও পরীক্ষার মাধ্যমেই। সেই তালিকায় রয়েছে কোহালির দলও।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাব এবং রাজস্থান রয়্যালস এই নতুন পদ্ধতিকেই বেছে নিয়েছে। যেখানে বাকি চার দল, চেন্নাই সুপার কিঙ্গস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ পুরনো পদ্ধতিতেই দলের ফিটনেস মেপে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছরই জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য খেলোয়াড়দের শারীরিক দক্ষতা পরিমাপের এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে বিসিসিআই। এই পরীক্ষায় পাস করলে তবেই জাতীয় দলের জার্সি পরতে পারবেন সেই ক্রিকেটার। বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত এমনই। জাতীয় দলের জন্য বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিতে মূলত হয় এই টেস্ট। যার জন্য সুরেশ রায়না এবং যুবরাজ সিংহ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। পরবর্তীকালে কঠোর অনুশীলন করে ইও-ইও পরীক্ষায় সফল হন রায়না। যুবরাজ এখনও অনুশীলনের মধ্যেই রয়েছেন।

আরও পড়ুন: আইপিএলে নাইটদের হয়ে ওপেন করতে পারেন যাঁরা

কোন ক্রিকেটারের শারীরিক দক্ষতা কতটা এবং সম্পূর্ণ ফিট হতে তাঁর কী ধরণের অনুশীলনের প্রয়োজন এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা বুঝে নিতে চান দলের কর্তারা। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলে যদিও দল থেকে বাদ যাবেন না কেউই। কারণ চুক্তি হওয়ার পরেই এই টেস্ট দিতে হয়েছে সবাইকে।

সম্প্রতি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তার খেলোয়াড়দের এই পরীক্ষা নিয়েছে। এর জন্য প্রথম ৪০ মিটার দূরত্ব মাত্র ১৪.৫ সেকেন্ডে অতিক্রম করতে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে-এর খেলোয়াড়দের। নিলামের পর দল গঠন করেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সমস্ত খেলোয়াড়দের এই পরীক্ষা নিয়ে ফেলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ।

এই টেস্ট এই মুহূর্তে বিশ্বের বেশির ভাগ খেলায় সব থেকে জনপ্রিয় ফিটনেস পরীক্ষা হিসেবে স্বীকৃত। বিদেশে ফুটবলারদেরও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিটনেস যাচাই করা হয়। ‘কোন’ রেখে বিভিন্ন দূরত্ব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেরতে হয়। পরীক্ষার বিভিন্ন লেভেল বা স্তরও আছে। যত উপরের স্তরে যেতে পারবে তত ফিটনেস ভাল।

ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে কোহালি বা মণীশ পাণ্ডে ১৮ বা ১৯ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য এই টেস্টে ১৭ লেভেল পাশ করাটা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে যোগ্যতা মানকে রাখা হচ্ছে ১৪.৫ থেকে ১৫।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

Yo-Yo test Cricket আইপিএল IPL 2018 IPL 11
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy