Advertisement
E-Paper

গম্ভীরই ওপেন করবেন, জানিয়ে দিলেন কোহালি

তাঁর খেলা ৪৭ টেস্ট ম্যাচের নয়-নয় করে ১৬টায় দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ফেলেছেন তিনি। সাফল্যের হারও চমৎকার। ৯টা জয়, হার মাত্র ২টো। দু’টোই বিদেশের মাঠে। আর ঘরের মাঠে তো ৬টা টেস্টে অধিনায়কত্ব করে ৫টাতেই জয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৪৩
বিরাট রাজার মেজাজ। শুক্রবার ইনদওরে ভারত অধিনায়ক। -পিটিআই

বিরাট রাজার মেজাজ। শুক্রবার ইনদওরে ভারত অধিনায়ক। -পিটিআই

তাঁর খেলা ৪৭ টেস্ট ম্যাচের নয়-নয় করে ১৬টায় দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ফেলেছেন তিনি। সাফল্যের হারও চমৎকার। ৯টা জয়, হার মাত্র ২টো। দু’টোই বিদেশের মাঠে। আর ঘরের মাঠে তো ৬টা টেস্টে অধিনায়কত্ব করে ৫টাতেই জয়। মহাসপ্তমীতে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের দুই অন্যতম ফ্ল্যামবয়েন্ট ব্যাটসম্যান সিকে নাইডু-মুস্তাক আলির শহর ইনদওরে চলতি সফরের শেষ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জেতা সারা বিরাট কোহালির দলের। সব মিলিয়ে তাঁর ব্যাটের মতোই কোহালির ক্যাপ্টেন্সিও বিরাট হয়ে ওঠার পথে। তা সত্ত্বেও কোহালি মনে করছেন, ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তাঁর শিক্ষানবীশের মেয়াদ এখনও ফুরোয়নি। চলছে।

২০১১-এ টেস্ট ম্যাচে অভিষেক। ২০১৪-এ টেস্ট দলের নেতৃত্বে। এই বছর তিনেকের ক্যাপ্টেন্সি জমানায় কোহালির কাছে ভাল অধিনায়ক হয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় শিক্ষা— পাঁচ দিনের ম্যাচের যে সেশনগুলো নিজের টিমের পক্ষে যায় না, সেগুলোকেও যথাসম্ভব বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারা। ‘‘হ্যাঁ, ভারতীয় টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি যা-যা শিখেছি বা এখনও শিখছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে, একটা সেশন যখন আমার দলের অনুকূলে চলছে না, সেটাকেও কী ভাবে যতটা সম্ভব বেশি আমি টিমের ক্যাপ্টেন হিসেবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি। কী ভাবে সেই সময়টাতেও বিপক্ষের রানের গতি আটকাচ্ছি, যখন কিনা ওদের ব্যাটসম্যানরা ছন্দে খেলে চলেছে,’’ শুক্রবার ইনদওরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে বলে দেন বিরাট। সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘‘হয়তো সেই সেশনে আমার বোলাররা উইকেট নিতে পারছে না, কিন্তু ওদের দিয়ে এমন একটা লাইনে বল করাতে হবে আমাকে, এমন ফিল্ড প্লেসিং দিতে আমার বোলারদের যাতে বিপক্ষের ভাল সময়েও রান তুলতে সমস্যা হয়। আর তাতে বিপক্ষের উপর ওই সময়ও চাপ থাকে। এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর অধিনায়ক হিসেবে একটা বিরাট অভিজ্ঞতা অর্জন।’’

দিল্লি ব্যাটসম্যানের মতে, টেস্ট ক্রিকেটের এটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। ‘‘যখন কিনা আপনাকে ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে খুব বেশি নেতিবাচক হলেও চলবে না। আবার পাশাপাশি একই সঙ্গে বিপক্ষকে খুব বেশি রান তুলতে দেওয়াও যাবে না। দু’টোর ভেতর পার্থক্যটা খুব সূক্ষ্ম। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে, এই সূক্ষ্ম পার্থক্যের লাইনটাই যে সেশন আপনার দলের অনুকূলে চলছে না, সেটাও যথাসম্ভব বেশি আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন রেখে দিতে পারে।’’

তিন টেস্টের সিরিজ ২-০ এগিয়ে ইতিমধ্যে পকেটে পুরে ফেলে কোহালি এখন এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, শেষ ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে বিপক্ষ শিবিরকে নিজের দলের ওপেনিং জুটি জানিয়ে দিতে দ্বিধা করছেন না। শিখর ধবনের চোটে ইনদওরে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে ওপেনার করুণ নায়ার ডাক পেলেও ভারত অধিনায়ক আজই বলে দিলেন, মুরলী বিজয়ের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করবেন গৌতম গম্ভীর। দু’বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ক গম্ভীরের দুর্গাপুজোর মধ্যে টেস্টে প্রত্যাবর্তন ঘটছে, ২০১৪-র অগস্টের পর। কোহালির কাছে যেটা ‘দলে স্বাভাবিক পরিবর্তন’। ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘গৌতমই এই দলের তৃতীয় ওপেনার। শিখরের চোট লাগায় স্বভাবতই ওপেনার হিসেবে দলে গৌতম স্বাভাবিক পছন্দ।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘শিখরের ব্যাপারটা কোনও ফিটনেস সমস্যা নয়। ও বুড়ো আঙুলে চোট পেয়েছে। কিন্তু যেটা ভাল দিক হল যে, এ ধরনের চোটগুলো আমরা খুব তাড়াতাড়ি ধরে ফেলতে পারছি এখন। আর সেই মতো সেই প্লেয়ারকে বিশ্রাম দিতে পারছি। সামনে বিরাট টেস্ট সিরিজ আছে আমাদের। ফলে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।’’

এ ব্যাপারে সেই প্লেয়ারের সঠিক ওয়ার্ক লোড নেওয়াটা কোহালির মতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফাস্ট বোলারের ক্ষেত্রে। আর সে ব্যাপারে ভারত অধিনায়ক আজ ভূয়সী প্রশংসা করেন মহম্মদ শামির। যে ভাবে বাংলার পেসার চোট থেকে সেরে উঠে ফের জাতীয় দলের অন্যতম বোলিং শক্তি হয়ে উঠেছেন। ‘‘শামি এই দলের বোলিং আক্রমণের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। ও দারুণ ভাবে ফিট হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এসেছে। ফিটনেস নিয়ে খুব ভাল চর্চা করেছে। পাঁচ-ছয় ওভারের স্পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারছে। যে কোনও পিচে শামি উইকেট তুলতে পারে। সেই স্কিল ওর আছে। সঙ্গে পুরো ফিট হয়ে ওঠায় শামি আমাদের একজন স্ট্রাইক বোলার,’’ দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন কোহালি।

দু’বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ক গম্ভীরের দুর্গাপুজোর মধ্যে টেস্টে প্রত্যাবর্তন ঘটছে, ২০১৪-র অগস্টের পর। কোহালির কাছে যেটা ‘দলে স্বাভাবিক পরিবর্তন’। ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘গৌতমই এই দলের তৃতীয় ওপেনার। শিখরের চোট লাগায় স্বভাবতই ওপেনার হিসেবে দলে গৌতম স্বাভাবিক পছন্দ। শিখরের ব্যাপারটা ফিটনেস সমস্যা নয়। ও বুড়ো আঙুলে চোট পেয়েছে। ভাল দিক হল যে, এ ধরনের চোটগুলো আমরা খুব তাড়াতাড়ি ধরে ফেলতে পারছি এখন। আর সেই মতো সেই প্লেয়ারকে বিশ্রাম দিতে পারছি।’’

Virat Kohli India vs New Zealand
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy