Advertisement
০৩ মে ২০২৪
badminton

শেষ আটে গায়ত্রী-তৃষা, বিদায় লক্ষ্য সেনেরও

বার্মিংহ্যামে গায়ত্রীরা ম্যাচ জিতে নেন ৫০ মিনিটে। ফল ২১-১৪, ২৪-২২। যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, প্রথম গেম দাপট নিয়ে জেতেন ভারতীয় জুটি।

কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ এই জুটির।

কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ এই জুটির। ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৭:২০
Share: Save:

টানা দু’বার গায়ত্রী গোপীচন্দ ও তৃষা জলি জুটি অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল। কিংবদন্তি গোপী চন্দের কন্যার বয়স ২০ বছর। তাঁর থেকে এক বছরের ছোট তৃষা। ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের নতুন প্রজন্মের এই দুই তরুণী বৃহস্পতিবার চমকে দিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর এবং গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইউকি ফুকুশিমা-সায়াকা হিরোতাকে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে। গায়ত্রীরা জিতলেও লক্ষ্য সেন হেরে গেলেন শেষ ষোলোয়। তাঁকে হারান ডেনমার্কের আন্ডার্স অ্যান্টোসেন ২১-১৩, ২১-১৫ ফলে।

বার্মিংহ্যামে গায়ত্রীরা ম্যাচ জিতে নেন ৫০ মিনিটে। ফল ২১-১৪, ২৪-২২। যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, প্রথম গেম দাপট নিয়ে জেতেন ভারতীয় জুটি। তবে দ্বিতীয় গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। অথচ এই গেমে এক সময় ৯ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন তৃষা-গায়ত্রী। সেখান থেকে ফুকুশিমারা দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন। জাপানি জুটি তিন বার ম্যাচ পয়েন্টও বাঁচান এবং ক্রমাগত চাপ বাড়াতে থাকেন। কিন্তু চাপেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন ভারতীয় তরুণীরা। সে সময় গায়ত্রীদের উদ্বুদ্ধ করার কাজ করেন বিদেশি প্রশিক্ষক মাথিয়াস বো এবং ভারতীয় জুটি ছ’বারের চেষ্টায় ম্যাচ পয়েন্ট জিতে নেন।

ফুকুশিমা-হিরোতা তিন বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেছেন। তাই গায়ত্রীদের জয় বড় ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা কিন্তু এখানে প্রথম রাউন্ডেও চমকে দেন মেয়েদের মধ্যে বিশ্বের আট নম্বর জুটি জংকোলফান কিত্তিথারাকুল ও রাউইন্ডা প্রাজোংজায়কে হারিয়ে। অনেকে মনে করছেন, গায়ত্রীরা আগামী দিনে ব্যাডমিন্টনের বড় মঞ্চে ভারতকে অনেক পদক দেবেন। গত বছরও তাঁরা অল ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

badminton Gayatri Gopichand Lakshya Sen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE