Advertisement
E-Paper

অলিম্পিকের দিকে তাকিয়ে কোচ কিশোর

বছর তিনেক আগে রাজ্য স্কুল ভলিবল দলের নির্বাচক কমিটিতে ডাকা হয় তাঁকে। তখনই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস’ তাঁকে কোচ হিসেবে বেছে নেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৩২
জয়ী দলের সঙ্গে কিশোর মালাকার। নিজস্ব চিত্র

জয়ী দলের সঙ্গে কিশোর মালাকার। নিজস্ব চিত্র

ভলিবলের সঙ্গে তাঁর দিনযাপন সেই স্কুলজীবন থেকে। খেলোয়াড় হিসেবে জেলা স্তর, কলকাতায় প্রথম ডিভিশন খেলেছেন। স্কুলে শিক্ষকতার ফাঁকেও ভলিবল ছাড়েননি। পনেরো বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এ বার তাঁর প্রশিক্ষণাধীন বাংলার মেয়েরা সোনা জিতে ফিরল ‘খেলো ইন্ডিয়া অনূর্ধ্ব ১৭ স্কুল গেমস’ থেকে।

কাটোয়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রান্তিকপাড়ার বাসিন্দা কিশোর মালাকার ঘোড়ানাষ হাইস্কুলের শিক্ষক। তিনি জানান, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে ভলিবল খেলা শুরু তাঁর। কাটোয়া কলেজে পড়ার সময়ে বর্ধমান জেলা ভলিবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সুপার ডিভিশন লিগে খেলেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বাণীপুরে শারীরশিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করার সময়ে খেলতেন কলকাতার প্রথম ডিভিশনে। আটচল্লিশ বছর বয়সে পৌঁছেও তাঁর ধ্যানজ্ঞান ভলিবল। বছর পাঁচেক আগেও কাটোয়ার ভারতী সঙ্গে নিয়মিত জনা পঞ্চাশ ছাত্রছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিতেন।

বছর তিনেক আগে রাজ্য স্কুল ভলিবল দলের নির্বাচক কমিটিতে ডাকা হয় তাঁকে। তখনই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস’ তাঁকে কোচ হিসেবে বেছে নেয়। সে বছর এলাহাবাদে অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের দলের কোচ ছিলেন তিনি। পরের বছর তাঁর প্রশিক্ষণেই মধ্যপ্রদেশে আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৪ মহিলা ভলিবল দল জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়। পরের বছর অন্ধ্রপ্রদেশে অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা ভলিবল দলও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয় তাঁর প্রশিক্ষণে। সেই সুবাদেই ‘খেলো ইন্ডিয়া’তে বাংলা দলের কোচ হওয়ার সুযোগ মেলে বলে জানান কিশোরবাবু।

এ বার দিল্লিতে ১-৫ ফেব্রুয়ারি ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রক আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ভলিবলে আটটি রাজ্যের দল যোগ দিয়েছিল। গ্রুপ লিগে পঞ্জাব, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশকে হারিয়ে দেয় বাংলা। সেমিফাইনালে গুজরাতকে ৩-১ সেটে এবং ফাইনালে মহারাষ্ট্রকে ৩-০ সেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় এ রাজ্যের মেয়েরা। প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড় হয়েছে তারকেশ্বরের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিথি ধাড়া। কিশোরবাবু জানান, সফল খেলোয়াড়দের বাছাই করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। বাংলা দলের কর্তা অভিজিৎ রুদ্র, দীপা মিত্র, বিকাশচন্দ্র মণ্ডলেরা জানান, ২০২৪-এর অলিম্পিকে ভাল ফলের জন্যই এই পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। কিশোরবাবু বলেন, ‘‘ওই অলিম্পিকের জন্য খেলোয়াড় তৈরিই এখন লক্ষ্য।’’

Khelo India Volleyball Teacher Bengal School Tournament
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy