Advertisement
০৭ মে ২০২৪
পরের টেস্টেই হয়তো দলের খোলনলচে বদলাচ্ছে

অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয়ে বোর্ড এখন শরণাপন্ন গুরু গ্রেগের

বাইশ গজে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের বর্তমান বিপর্যয় সামলাতে শুধু দেশের স্বর্ণযুগের প্রাক্তন নির্বাচক প্রধানেরই প্রত্যাবর্তন ঘটানো নয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শরণাপন্ন হল গুরু গ্রেগেরও।

সিডনি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:১৯
Share: Save:

বাইশ গজে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের বর্তমান বিপর্যয় সামলাতে শুধু দেশের স্বর্ণযুগের প্রাক্তন নির্বাচক প্রধানেরই প্রত্যাবর্তন ঘটানো নয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শরণাপন্ন হল গুরু গ্রেগেরও।

নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে রডনি মার্শ সরে দাঁড়ানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ট্রেভর হন্সকে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক প্রধান হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আজ। তবে আসল তাৎপর্যের বোধহয় অস্ট্রেলিয়ার চার সদস্যের নির্বাচন প্যানেলে গ্রেগ চ্যাপেলের আগমন।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার জানাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক অতীতের স্বর্ণযুগের সময় জাতীয় দলের নির্বাচক প্রধান থাকা হন্স রাজি হয়েছেন, স্টিভন স্মিথের দলের বর্তমান সঙ্কটের সময় এগিয়ে আসার। সঙ্গে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের প্রধান যোগ করেন, ‘‘অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক প্রধানের দায়িত্ব সামলাতে হন্সকে সাহায্য করবেন জাতীয় দলের কোচ ডারেন লেম্যান, অন্যতম নির্বাচক মার্ক ওয় এবং গ্রেগ চ্যাপেল। এই চার জনের প্যানেলকে আপাতত বলা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট। এই গ্রুপের একটা বড় দায়িত্ব একজন পূর্ণ সময়ের জাতীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান খোঁজাও। কারণ, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের সঙ্কট কাটাতে নির্বাচক কমিটির প্রধান পদে সেরা লোকের বসাটা গুরুত্বপূর্ণ।’’

এ কথা জানাজানি হওয়া মাত্র অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট মিডিয়ায় দেশের দুই প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্টিভ ওয়, রিকি পন্টিংয়ের পাশাপাশি প্রাক্তন ফাস্ট বোলার জেসন গিলেসপির নামও উঠে গিয়েছে পরবর্তী নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা তিনটি হোম সিরিজ হারার পরে আগামী সপ্তাহে অ্যাডিলে়ডে চলতি সিরিজের শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে জাতীয় কোচ লেম্যান খারিজ হতে পারেন বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শেষ বার ২০১৩-এ ভারত ও ইংল্যান্ডের কাছে টানা ছ’টা টেস্ট হারের পর তৎকালীন অস্ট্রেলীয় কোচ মিকি আর্থার চাকরি হারিয়েছিলেন। হন্স স্পিনার হিসেবে মাত্র সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেললেও তাঁর এক দশকের (১৯৯৩-২০০৩) নির্বাচক প্রধানের মেয়াদকালে অস্ট্রেলিয়া টানা ১৬টা টেস্ট ম্যাচ জেতার রেকর্ড করেছিল। জিতেছিল পরপর দু’টো (১৯৯৯ ও ২০০৩) ওয়ান ডে বিশ্বকাপ।

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট মিডিয়ার খবর, হন্স খুব সম্ভবত অ্যাডিলেড টেস্টেই অস্ট্রেলিয়া দলের খোলনলচে বদলে দিতে চলেছেন। আর সেই এই কঠিন কাজের খসড়া অস্থায়ী ভাবে হন্সকে তৈরি করে দিতে গুরু গ্রেগের মতো কঠিন ক্রিকেটমনস্ক ব্যক্তিত্বকে নির্বাচন প্যানেলে এনেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বোর্ড প্রধান পিভার বলেছেন, ‘‘মিস্টার গ্রেগের অতীতে দু’বার জাতীয় নির্বাচক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাই শুধু নেই। আমাদের দেশের যুব ক্রিকেটের আদত প্রোগ্রামিং তাঁরই হাতে তৈরি বলে অস্ট্রেলিয়ার উঠতি প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের উনি নিজের আঙুলের মতো চেনেন। জাতীয় দলে সেরা নতুন প্রতিভাদের সুযোগ করে দেওয়ার ব্যাপারে ওঁর অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অপরিসীম।’’ উল্লেখ্য, কোচ লেম্যান ইতিমধ্যে বলে রেখেছেন, বর্তমান দলের মাত্র চার জন— অধিনায়ক স্মিথ, ওয়ার্নার, স্টার্ক ও হ্যাজলউডের পরের টেস্টে দলে থাকা একমাত্র নিশ্চিত।

দেখার গুরু গ্রেগ সেটুকুও মনে করেন কি না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Greg Chappell cricket Australia Interim selector
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE