কলকাতায় আসার বিমানে বিরাট। ছবি: টুইটার
প্র: শেষ সাতটা টি-টোয়েন্টিতে তিনটে সেঞ্চুরি আপনার। এই ফর্ম্যাটে এই ঘটনা বিরল। কী ভাবে করলেন?
কোহালি: সত্যি বলতে, আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছি নিজের পারফরম্যান্সে। সেঞ্চুরিগুলোর আগে ভাবতেই পারিনি যে, অতদূর যেতে পারব। আসলে দলের রান নিয়েই বেশি ভাবি। শেষের দিকের ওভারগুলোতে যথাসম্ভব বেশি রান তুলতে হয়। তখন আর নিজের রানের কথা মনে থাকে না। তখন শুধু বল দেখো আর ছয় হাঁকাও, এটাই মনে থাকে। আর আমি তো একেবারে ইনিংসের শেষে গিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছি প্রতিবারই। ইনিংসের পর আনন্দটা উপলব্ধি করতে পারি।
প্র: আপনি তো এখন রান তাড়া করায় বিশ্বসেরা। ব্যাটিং করতে নেমে কি মাথায় সবসময় একটা ‘ক্যালকুলেটর’ চালু রাখেন
কোহালি: এটাও দলের স্কোর অনুযায়ীই হয়। কত বলে কত রান করতে হবে, কোন বোলারকে টার্গেট করতে হবে, ফিল্ডিংয়ে গ্যাপ কোথায়, কী ভাবে চার-ছয় পাওয়া যাবে, এগুলোই শুধু মাথায় থাকে। বড় পার্টনারশিপ গড়ার দিকেও নজর দিতে হয়। লোকে ভাবে রান তাড়া করাটা খুব চাপের ব্যাপার। আমার কিন্তু তা মনে হয় না। তখন এগুলোতে ফোকাস করলে আর নিজের উপর কোনও চাপ থাকে না।
প্র: ব্যাটসম্যানরা এ রকম ফর্মে থাকলে সাধারণত একটু রিল্যাক্সড থাকে। নতুন কিছু করার চেষ্টা করে বা ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আপনার মধ্যে সে রকম কিছুই দেখা যায় না। এটাই কি ধারাবাহিকতার রহস্য?
কোহালি: খাও-দাও, ঘুমোও, ট্রেনিং করো আর ফের একটা ভাল পারফরম্যান্স দেখাও— এটাই আমার কাছে ধারাবাহিকতার মূলমন্ত্র। ধারাবাহিক হতে গেলে ট্রেনিং, খাওয়াদাওয়া আর নেট প্র্যাকটিসের মতো একঘেয়ে কাজগুলো করে যেতেই হবে। এগুলোতে ‘বোর’ হওয়া যাবে না। সে নিজের সম্পর্কে যেমনই মনে হোক না কেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আমি কোচকে বলছিলাম, আমার মনে হচ্ছে, প্রথম ওভারেই টিম সাউদিকে আমি প্রতি বলে ছয় মারতে পারি। কিন্তু সেটা করতে যাইনি। নিজের সীমার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে ব্যাড প্যাচ আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ওটা খুব বাজে ব্যাপার।
প্র: এবি ডে’ভিলিয়ার্সের সঙ্গে আপনার কেমিস্ট্রি তো অবিশ্বাস্য জায়গায় চলে গিয়েছে। ক্রিজে কী কথা হয় আপনাদের মধ্যে?
কোহালি: সে রকম কোনও কথাই হয় না। ব্যাটিংয়ের সময় এবি-র সঙ্গে কথা বলার কোনও প্রয়োজনই হয় না। কারণ, কী ভাবে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সে ব্যাপারে আমাদের দু’জনেরই ভাবনা-চিন্তা প্রায় একই রকম। আমরা একে অন্যকে আত্মবিশ্বাস জোগাই আর মাঝে মাঝে পরামর্শ দিই, ‘হ্যাঁ, এ রকমই চালিয়ে খেলো’ বা ‘এখনই এত চালিও না’। এর বাইরে আর সে রকম কোনও কথা হয় না। আমাদের মধ্যে এমনিতেই বোঝাপড়াটা খুব ভাল। মাঠের বাইরেও যে আমরা ভাল বন্ধু। এটা মাঠেও সাহায্য করে। এবি-র ব্যাটিং দেখাটা যেমন একটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, তেমন আবার মাঝে মাঝে ওর শটগুলো দেখে খারাপও লাগে। মনে হয়, আমার দ্বারা তো আর এই শটগুলো নেওয়া হবে না। ও ফাস্ট বোলারদের সুইপ করে ছয় হাঁকায়। আমি কখনও এ রকম দেখিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy