যুযুধান: বিধ্বংসী বাটলারকে থামানোর পরীক্ষা রাবাডার। এপি
চার বছর আগে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে কোচ ও অধিনায়ক পরিবর্তন করেছে ইংল্যান্ড। শেষ চার বছর ধরে ধীরে ধীরে দলকে তৈরি করেছেন কোচ ট্রেভর বেলিস ও অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। শেষ চার বছরে গড়ে তোলা শক্তি নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামতে চলেছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডকে শক্তি বলার কারণ, অবশ্যই শেষ চার বছরে তাদের পারফরম্যান্স। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে থেকেই এ বারের বিশ্বকাপ খেলবে ইংল্যান্ড। এখনও পর্যন্ত এক বারও বিশ্বকাপ জিততে তারা না পারলেও এ বার ফেভারিট হিসেবেই দেখা হচ্ছে তাদের। অন্যতম কারণ, অবশ্যই ঘরোয়া পরিবেশের সুবিধা। দ্বিতীয় কারণ, জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়ের ফর্ম।
বিশ্ব ক্রিকেটে উদয় হয়েছে নতুন দুই পাওয়ারহিটারের। যে তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকবেন বাটলার ও বেয়ারস্টো। এই দুই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বর্তমানে বিশ্বক্রিকেটের ত্রাস। সেই সঙ্গে মর্গ্যান ও জো রুটের টেকনিক দলকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে পারে। বেন স্টোকসের ব্যাটে বল লাগতে শুরু করলে তো সব অঙ্কই পাল্টে যেতে পারে। ইংল্যান্ডের এই ব্যাটিং-শক্তির বিরুদ্ধে ডেল স্টেনকে ছাড়াই নামতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তাঁদের সামনে চোকার্স তকমা মোছার লড়াই। কিন্তু প্রথম ম্যাচের আগে কোন একাদশ নিয়ে নামবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় ফ্যাফ ডুপ্লেসি।
বুধবার ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘স্টেনের অভাব দলের জন্য একটা বড় ক্ষতি। দল ঘোষণা করার সময় ৬০ শতাংশ ফিট ছিল স্টেন। প্রথম ম্যাচের আগে ও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। স্টেনের উপস্থিতি আমাদের বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু কাল স্টেন না থাকায় পরিকল্পনায় পরিবর্তন করতে হবে।’’
স্টেন, রাবাডা, এনগিডির পেস ত্রয়ী নিয়ে নামতে পারছেন না ডুপিলেসি। প্ল্যান ‘এ’ অনুযায়ী চলতে না পারলে, প্ল্যান ‘বি’ অথবা ‘সি’ ঠিক করতে হবে। লুঙ্গি এনগিডি ও রাবাডার পাশাপাশি স্টেনের পরিবর্ত হিসেবে সুযোগ দেওয়া হতে পারে ক্রিস মরিস অথবা ডোয়েন প্রেটোরিয়াসকে। দু’জনেই পেসার-অলরাউন্ডার। কিন্তু ডুপ্লেসি এমন একজনকে চান যাঁর উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। অধিনায়কের কথায়, ‘‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনও ভাবেই রক্ষণাত্মক ক্রিকেটে খেলে লাভ নেই। এমন দল গড়তে চাইব, যারা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।’’
অন্য দিকে ইংল্যান্ড শিবিরে বিশ্বাস, বিপক্ষ ৩৫০ রানের বেশি তুলে দিলেও রান তাড়া করে জেতার ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে। এ দিন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘এই চাপটা উপভোগ করছি আমরা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে আমাদের দল যে ক্রিকেট খেলেছে তাতে আমাদের ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর এবং প্রত্যেকের মধ্যেই এ বার বিশ্বকাপ জয়ের বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy