Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ভারত-ইংল্যান্ড লড়াইয়ের ভাগ্য স্পিনারদের হাতে

বিশ্বকাপে এ বার বেশ কয়েকজন দ্রুতগতির বোলারকে তাদের চেনা ছন্দে বল করতে দেখে দারুণ লাগছে। একই সঙ্গে নজর কেড়েছে স্পিনাররাও।

কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ০৩:৩২
Share: Save:

বিশ্বকাপ দেখতে বসে ইদানীং প্রাথমিক যে শঙ্কাটা গ্রাস করে, তা হল, ৫০ ওভারের এই খেলাটা যেন চার-ছক্কা মারার প্রতিযোগিতা না হয়ে যায়। বিশ্বকাপ যে ফর্ম্যাটেরই হোক না কেন, ক্রিকেট-বোদ্ধা দর্শক সব সময়ে টানটান উত্তেজনায় পূর্ণ একটা ম্যাচ দেখতে চান। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন বোলাররাও ম্যাচে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন করে।

বিশ্বকাপে এ বার বেশ কয়েকজন দ্রুতগতির বোলারকে তাদের চেনা ছন্দে বল করতে দেখে দারুণ লাগছে। একই সঙ্গে নজর কেড়েছে স্পিনাররাও। আমার মতে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সব চেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য হল স্পিনাররা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এর চেয়ে ভাল কোনও দৃশ্য হতেই পারে না।

বিরাট কোহালিদের দলে রয়েছে দুই বিশ্বমানের স্পিনার। তৃতীয় স্পিনার এখনও না খেললেও সেও দুর্দান্ত। হাসতে হাসতে বিশ্বের যে কোনও দলে জায়গা করে নেবে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের মুখে তাই চওড়া হাসি। ভারতীয় স্পিনাররা মাঝের ওভারে উইকেট তুলে বিপক্ষের দেওয়া চাপটা ভোঁতা করে দিচ্ছে। আর তার পরে পেসাররা শেষের দিকের ওভারগুলোতে চূর্ণ করছে প্রতিপক্ষকে।

বিরাট কোহালি ও তাঁর দলের কৃতিত্ব এটাই যে শেষ দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে তারা ম্যাচ জিতেছে। এ ক্ষেত্রে বাহবা দিতে হয়, ভারতীয় বোলিং বিভাগকে। প্রথমে করা রানটা ওরা সুরক্ষিত রেখেছে।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতীয় অধিনায়ক বলেছিল, ২৭৫ রান তাড়া করে জেতা সহজ হবে না এই প্রতিযোগিতায়। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয়ার্ধের গ্রীষ্মে। এতেই বোঝা যায়, ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কত দক্ষ ভাবে আবহাওয়ার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে পরিকল্পনা সাজিয়েছে।

বিরাটকে ধন্যবাদ জানাতে হবে আরও একটি কারণে। গত ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ২০ হাজার রানের মালিক হয়েছে ও। বিরাটকে খেলতে দেখলে আমার সেরা ফর্মের ভিভিয়ান রিচার্ডসের কথা মনে পড়ে যায়।

রবিবারের ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচ আমার কাছে এই বিশ্বকাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্বৈরথ। যা পরিস্থিতি, তাতে সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে বিশ্বকাপের নকআউট পর্যায়ে এই দুই দেশের ফের দেখা হতে পারে। তাই এই ম্যাচে রবিবার যে দলই জিতবে তারা একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নকআউটে যাবে।

ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে শুরুটা তাই ভাল হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমার মতে ব্যাটসম্যানরা মাঝের ওভারে স্পিনারদের কী ভাবে সামাল দেয়, তার উপরেই নির্ভর করবে এই ম্যাচের ভাগ্য। সেই হিসাবে ম্যাচটায় এগিয়ে রয়েছে ভারতই। তার কারণটা অবশ্যই ওদের ব্যাটিং ও বোলিং শক্তির ভারসাম্য।

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডকে ঘিরে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, তা কিন্তু পূর্ণ করতে পারেনি অইন মর্গ্যানরা। বিপক্ষে ভারতের মতো দল থাকায় ওদের আত্মবিশ্বাসও কম থাকবে। কারণটা অবশ্যই বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ভারতের অপরাজিত ভাবে একের পর এক ম্যাচ জিতে চলা। উল্টো দিকে, ভারতীয় দল কিন্তু দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। উইকেটের যা অবস্থা তাতে বল ঘোরার সম্ভাবনা প্রবল। এই অবস্থায় ইংল্যান্ড যদি ভারতকে সামান্য সুযোগও দিয়ে বসে, তা হলেই ম্যাচ জেতা মুশকিল হয়ে যাবে ওদের কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ICC World Cup 2019 Cricket India England
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE