Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বড় ক্লাবের নামে দল গড়ে খেলার আয়োজন

খেলে টাকা পাওয়া তো দূরের কথা, খেলার শুরুতে ক্যাপ্টেনের কাছে দশ টাকা করে চাঁদা জমা দেন খেলোয়াড়রা। খেলা শেষে বিজয়ী দল পরাজিতদের ওই চাঁদার টাকায় টিফিন খাওয়ান। আর তৌফিক, রিয়াজরা মাঠে কল্পনার মেহেতাব, ডিকা।

কাদা-পায়ে: খেলার একটি মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।

কাদা-পায়ে: খেলার একটি মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১৫
Share: Save:

মাঠে জল থই-থই করছে। ওই কাদা মাখা জল ঠেলে ছুটে চলেছে তৌফিক, রিয়াজ, মইনুলরা। সেই এক জন হাতে চোঙা নিয়ে ঘোষণা করছেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের খেলা হচ্ছে। ধারাভাষ্য চলছে গাছের তলা থেকে।

তবে এটা কোনও ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের খেলা নয়। ব্যারাকপুর ২ ব্লকের শিউলি পঞ্চায়েত এলাকার বসিন্দা তৌফিক, রিয়াজরা বর্ষাকালীন পাড়া ম্যাচের সূচনা করেছেন এ বছর। নিজেরাই দল তৈরি করেছেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের মতো বড় দলগুলির নামে। কোচ নেই, জার্সি নেই, জুতোও নেই। তবে খেলা আছে ভরপুর। ১১ জনের দলের ক্যাপ্টেন ঠিক হয় খেলা শুরুর মুহূর্তে। খেলে টাকা পাওয়া তো দূরের কথা, খেলার শুরুতে ক্যাপ্টেনের কাছে দশ টাকা করে চাঁদা জমা দেন খেলোয়াড়রা। খেলা শেষে বিজয়ী দল পরাজিতদের ওই চাঁদার টাকায় টিফিন খাওয়ান। আর তৌফিক, রিয়াজরা মাঠে কল্পনার মেহেতাব, ডিকা।

শিউলির এই মাঠে ফুটবল খেলা হচ্ছে বেশ কয়েক দশক ধরে। কিন্তু বর্ষাকালীন এই ম্যাচ নজর কেড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘তরুণদের মধ্যে এই উৎসাহ খুব ভাল। খেলার প্রচার যদি এ ভাবে হয়, তা হলে আমরাও আমাদের সাধ্য মতো পাশে থাকতে পারি।’’ এক সময় এই মাঠে বহু বড় ম্যাচ হয়েছে। মাঝে কিছুদিন ফুটবল কোচিং ক্যাম্পও শুরু হয়েছিল। তা অবশ্য চলেনি। এখন বছরের অন্য সময় দিনে গরু চরে আর রাতে নেশাতুরদের আড্ডা বসত। মাঠের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে এখানে নিয়মিত খেলা শুরু করা হয়। এর ফলে পরিস্থিতি পাল্টেচে বলে বলে দাবি তৌফিকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE