আপনি ক্রিকেটভক্ত? তা হলে থাকছেন স্যর ডন ব্র্যাডম্যান থেকে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহালিরা।
আপনি ফুটবলপাগল? তা হলেও পাবেন লিওনেল মেসি থেকে চেলসি।
আপনি টেনিসের ফ্যান হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দুই ফাইনালিস্ট রজার ফেডেরার ও রাফায়েল নাদাল, দু’জনকেই পেয়ে যাবেন।
উসেইন বোল্টেরও ছোঁয়া পেতে পারেন।
এই শহরেই। একই ছাদের তলায়। এক অনন্য সংগ্রহশালায়। যার নাম ‘ফ্যানাটিক স্পোর্টস মিউজিয়াম’। সারা দেশে এই ধরনের মিউজিয়াম এই প্রথম।
অম্বুজা নেওটিয়ার উদ্যোগে তৈরি রাজারহাটের ইকোস্পেসে ছ’হাজার সাতশো বর্গফুটের খেলার পৃথিবী উদ্বোধন করতে রবিবার বিকেলে একই মঞ্চে উঠছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিন তেন্ডুলকর।
কিন্তু কী ভাবে এখানে পাবেন দুনিয়া জোড়া তারকাদের ছোঁয়া? কারও জলজ্যান্ত সই করা ব্যাট, তো কারও জার্সি, টুপি। কারও দুনিয়া কাঁপানো কীর্তির স্মারক!
সচিনের শততম সেঞ্চুরির গ্লাভস যদি এই মিউজিয়ামের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়, তা হলে বার্সেলোনার হয়ে মাঠে নামা মেসির জুতো বা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের দৌড়ে বোল্টের জুতো কম আকর্ষণীয় নয়। সৌরভ, কোহালির ব্যবহার করা ব্যাটও তেমনই এক স্মারক।
রবিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে যাঁরা মুখোমুখি হবেন, সেই রজার ও রাফার টুপিও দেখতে পাবেন চোখের সামনে। ২০১৫-র ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগজয়ী চেলসির পুরো টিমের সই করা জার্সিও হাজির। এটিকে-র আইএসএল ট্রফিও।
বর্তমানের মতো অতীতও এখানে সমান উজ্জ্বল। ডব্লিউ জি গ্রেসের নিজের হাতে লেখা চিঠি, সিকে নাইডু ও তাঁর ১৯৩৬-এর ভারতীয় দলের সতীর্থদের অটোগ্রাফ, ২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের সই করা ব্যাট। রুপোজয়ী পিভি সিন্ধুর রিও অলিম্পিক্সের জার্সি ও বেজিং অলিম্পিকে সোনাজয়ী অভিনব বিন্দ্রার ব্যবহার করা গ্লাভসও থাকছে এই মিউজিয়ামে।
শুধু দীপা কর্মকার, ভাইচুং ভুটিয়া, মিলখা সিংহ, পিটি ঊষাদের না থাকাই যেন পূর্ণতার পথে একমাত্র বাধা। বাকিটা অসাধারণ প্যাকেজে মোড়া দুর্দান্ত এক উদ্যোগ। এই মিউজিয়ামে ঢুকে পড়া মানে খেলার এক অন্য জগতে চলে আসা।
মিউজিয়ামেই শেষ নয়। সঙ্গে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ক্রীড়া স্মারক সংগ্রহ করার সুযোগও থাকবে। কোহালির টিমের জার্সি থেকে ম্যান ইউয়ের স্মারক কফি মগ, কিনতে পারবেন। এক কথায় ক্রীড়াপ্রেমীদের সব পেয়েছির আসর।
মূলত যাঁর সংগ্রহের নেশার ফসল এই মিউজিয়াম, সেই ক্রীড়া ঐতিহাসিক ও সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদারের প্রতিশ্রুতি, ‘‘ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু রাখা হবে এখানে। যেগুলো নেই, সেগুলোও সংগ্রহ করে আনার চেষ্টা করব। তখন আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই মিউজিয়াম।’’ এ দিনই চলে এল ইংল্যান্ডের ফুটবল মিউজিয়ামের সম্মতি। তারাও স্মারক পাঠাবে। এখন অপেক্ষা লর্ডস মিউজিয়ামের।