সাফল্য: ম্যাচের পরে ড্রেসিংরুমে উচ্ছ্বাস ভারতীয় দলের। টুইটার
ভারত ০ ইন্দোনেশিয়া ০
স্বপ্নপূরণ। প্রথম বার এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে অনূর্ধ্ব-১৬ ভারতীয় দল। এ বার সামনে ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের হাতছানি। এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠতে পারলেই পেরু বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতীয় দলের।
২০০২ সালে ভারত যখন শেষ আটে পৌঁছেছিল, তখন এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলারদের জন্য। ২০০৬ সাল থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কিন্তু গত বারো বছরে গ্রুপ পর্বেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের অভিযান।
এএফসি কাপের শেষ আটে যোগ্যতা অর্জনের জন্য বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করলেই চলত ভারতের। প্রথমার্ধে ভারতীয় দলের রণকৌশল ছিল রক্ষণ মজবুত করে প্রতিআক্রমণে গোলের জন্য ঝাঁপানো। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলারেরা অবশ্য শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারও দুর্ভেদ্য ছিল গোলরক্ষক নীরজ কুমার। আগের ম্যাচেও শক্তিশালী ইরানের বিরুদ্ধে পেনাল্টি-সহ একাধিক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছিল নীরজ।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক হেনরি মেনেজেস ম্যাচের পরে ফোনে বলছিলেন, ‘‘দুর্দান্ত খেলেছে আমাদের ছেলেরা। ইন্দোনেশিয়ার আক্রমণের ঝড় আমাদের ডিফেন্ডারেরা দারুণ সামলেছে। সব চেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, গ্রুপ লিগের তিনটি ম্যাচে কোনও গোল খাইনি আমরা।’’ হেনরির মতে জিততেও পারত ভারত। বললেন, ‘‘গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে জিততাম।’’ হেনরির সঙ্গে একমত অনূর্ধ্ব-১৬ ভারতীয় দলের কোচ বিবিয়ানো ফার্নান্দেস। তিনি বলেছেন, ‘‘ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে জিততেও পারতাম। তবে ড্র হওয়ায় হতাশ নই। স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য ফুটবলার-সহ দলের অন্যান্য সদস্যদের ধন্যবাদ।’’ গ্রুপ ‘সি’ থেকে রানার্স হয়ে শেষ আটে ওঠা ভারতের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া না অস্ট্রেলিয়া, তা চূড়ান্ত হবে শুক্রবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy