Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পোলার্ডের ৩১ বলে ৮৩, শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় মুম্বইয়ের

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। পোলার্ড শুরুই করেন নো বলে একটা ছয় মেরে। পরের বলে চার। চার বলে যখন চার রান বাকি, অঙ্কিত রাজপুতের বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন পোলার্ড।

নায়ক: দুরন্ত জয়ের পরে পোলার্ডকে ঘিরে উল্লাস মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সতীর্থদের। বুধবার ওয়াংখেড়েতে। এএফপি

নায়ক: দুরন্ত জয়ের পরে পোলার্ডকে ঘিরে উল্লাস মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সতীর্থদের। বুধবার ওয়াংখেড়েতে। এএফপি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৫২
Share: Save:

ওয়াংখেড়েতে পোলার্ড-ঝড়। যে ঝড়ের সামনে ম্লান হয়ে গেল ক্রিস গেল, কে এল রাহুলের দুরন্ত ইনিংস। মাত্র ৩১ বলে ৮৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে গেলেন এই ম্যাচে মুম্বইকে নেতৃত্ব দেওয়া পোলার্ড। তাঁর ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার, দশটি ছয়। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ১৯৭-৪ স্কোর শেষ বলে টপকে গেল মুম্বই। পোলার্ডরা ম্যাচ জিতে নিলেন তিন উইকেটে।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। পোলার্ড শুরুই করেন নো বলে একটা ছয় মেরে। পরের বলে চার। চার বলে যখন চার রান বাকি, অঙ্কিত রাজপুতের বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন পোলার্ড। পরের চার বলে রুদ্ধশ্বাস নাটক। শেষ পর্যন্ত অঙ্ক দাঁড়ায় এক বলে দুই রান। আলজ়ারি জোসেফ স্ট্রেট ড্রাইভ মেরে সেই দুই রান

নিয়ে নেন। ম্যাচ শেষে মুম্বই শিবির উচ্ছ্বসিত পোলার্ডকে নিয়ে। হার্দিক পাণ্ড্য-সহ সতীর্থেরা জয়ের পরেই পোলার্ডের ঘাড়ে উঠে পড়েন। হার্দিক বলেন, ‘‘এই ইনিংস পোলার্ডের পক্ষেই খেলা সম্ভব।’’ নায়ক পোলার্ড এই জয় তাঁর স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছেন। এ দিনই ছিল তাঁর স্ত্রীর জন্মদিন। পোলার্ড বলেন, ‘‘ওয়াংখেড়েতে ব্যাট করতে সব সময়েই পছন্দ করি। মাথায় ছিল মাঝের ওভারগুলোতে অশ্বিনকে আক্রমণ করে কয়েকটা ছয় মারতে পারলে ম্যাচে ফিরতে পারব আমরা। যখন ছক্কাগুলো গ্যালারিতে উড়ে গিয়ে পড়ছিল তখন দারুণ লাগছিল।’’

ম্যাচ শুরুর আগেই ধাক্কা খেয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গত ১১ বছরে যা ঘটেনি, বুধবার সেটাই ঘটল। চোটের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। রোহিতের জায়গায় নেতৃত্ব দিতে নেমে স্বপ্নের ইনিংস খেলে গেলেন পোলার্ড। রান তাড়া করতে নেমে নিজেকে চার নম্বরে তুলে আনেন তিনি। এবং দলকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন আইপিএলে নিজের সর্বোচ্চ রান করে। পোলার্ডের এই তাণ্ডবের সামনে ম্লান হয়ে গেল রাহুলের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি।

রোহিতকে নিয়ে উদ্বেগের চেয়েও ম্যাচ শুরুর পরে মুম্বই শিবিরে অন্য দুশ্চিন্তার মেঘ ঢুকে পড়ে। যে দুশ্চিন্তার নাম ছিল ক্রিস গেল এবং কে এল রাহুল। শুরু থেকে বিধ্বংসী ছিলেন গেল। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনার (৩৬ বলে ৬৩) ফিরে যাওয়ার পরে দ্রুত রান তোলার দায়িত্ব নিয়ে নেন রাহুল (৬৪ বলে অপরাজিত ১০০)। এবং শেষ ওভারে আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি।

রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে মারমুখী মেজাজে পাওয়া যায় গেলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনারের ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার, সাতটি ছয়। রাহুল এবং গেল মিলে ওপেনিং জুটিতে ১২.৫ ওভারে যোগ করেন ১১৬ রান।

এ বারের আইপিএলে বেশির ভাগ ম্যাচেই ঝড় তুলছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারেরা। কোথাও আন্দ্রে রাসেল, কোথাও কায়রন পোলার্ড, আলজ়ারি জোসেফ। কোথাও বা ক্রিস গেল। এ দিন যেমন পঞ্জাবের ইনিংসের সময় গেলের ব্যাটে দেখা গেল। বিশাল, বিশাল ছয় মেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওপেনার। যা গিয়ে আছড়ে পড়েছে ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে।

আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের জয়ের নায়ক ছিলেন জোসেফ। এ দিন কিন্তু সেই আলজ়ারিকে অনায়সে খেলে দিলেন পঞ্জাবের ওপেনাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারের বিরুদ্ধে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রাহুল। আলজ়ারিকে দুটো ছয়ও মারেন তিনি। আইপিএলের শুরুতে ছন্দে ছিলেন না রাহুল। কিন্তু যত প্রতিযোগিতা এগিয়েছে, তত সাবলীল দেখিয়েছে তাঁকে। সাত ম্যাচে তিনটি হাফসেঞ্চুরি, একটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE