চলতি আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে চারটিতে। যে ধারাবাহিকতা প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত করেছে দিল্লিকে। শেষ বার আইপিএলে তারা প্লে অফে গিয়েছিল ২০১২ সালে। তার পরে আইপিএলে সে রকম সাফল্য আর পায়নি দিল্লি। চলতি মরসুমে তাই দিল্লির এই দুরন্ত সাফল্যের রহস্য কি, তা নিয়ে কৌতূহল কম নয়।
যার উত্তর দিলেন দিল্লির প্রধান কোচ রিকি পন্টিং। ‘‘কয়েকটা ম্যাচে কয়েক জন ক্রিকেটারকে বসিয়ে দেওয়া উচিত ছিল কি না প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল দলে যদি প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা থাকে, তাদের সমর্থন করে যাওয়া উচিত। আমাদের দলে এমন ক্রিকেটারেরা আছে যারা পরিস্থিতি খুব দ্রুত দলের অনুকূলে নিয়ে আসার ক্ষমতা রাখে। তা ছাড়া এই ধরনের প্রতিযোগিতায় মাত্র একটা ভাল ইনিংস বা ম্যাচই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে,’’ বলেন পন্টিং।
৪৪ বছর বয়সি অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি আরও যোগ করেন, ‘‘ঋষভ পন্থের হয়তো বিশ্বকাপ নির্বাচন নিয়ে মাথায় একটা চিন্তা ছিল। কিন্তু সত্যি বলতে প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ওর অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসটাই কিন্তু আমাদের জিতিয়েছে। রাজস্থানের বিরুদ্ধেও ঋষভ ফের ছন্দ খুঁজে পাওয়ায় আমি খুব খুশি। এ রকম ক্রিকেটারদের কাছে দল চাইবে মরসুমে তিন, চারটে ম্যাচ যেন জিতিয়ে আসে। ও এর মধ্যেই দুটো জিতিয়েছে। এই ছন্দে থাকলে আরও ম্যাচ জেতাবে ঋষভ।’’
১১ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট এখন ১৪। যার মধ্যে সাতটা জয়, চারটে হার। পন্টিংয়ের বিশ্বাস ঠিক সময়ে দল ছন্দে ফিরেছে। ‘‘আমরা গত পাঁচটা ম্যাচে চারটে জিতেছি। তিনটে ম্যাচ এখনও বাকি লিগ পর্যায়ে। তাই আমার মনে হয়, সঠিক পথেই আমরা এগোচ্ছি। দল যে ভাবে ঠিক সময়ে ছন্দে ফিরেছে তাতে আমি খুশি।’’
চলতি মরসুমে কোন জয়টা পন্টিংকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে জানতে চাইলে বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বলেন, ‘‘হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে (অ্যাওয়ে ম্যাচে) জয়টা আমার বেশি ভাল লেগেছে। কারণ ম্যাচটায় আমরা বড় কিছু না করলেও শেষ পর্যন্ত ঠিক জয়ের রাস্তা খুঁজে নিয়েছি। আমরা ম্যাচটায় উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। সম্ভবত ওদের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-র পরে স্কোর ছিল ৬০-০। ম্যাচটা আমাদের হাত থেকে ফস্কে যাচ্ছিল। কিন্তু আমরা সেটা হতে দিইনি। যেটা আমাদের দলের জন্য খুব ভাল লক্ষণ।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ছেলেদের আমরা একটা কথা বলার চেষ্টা করি, শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত হার মানবে না।’’