Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৩

ওয়ার্নারের মরিয়া মনোভাব দিতে পারে ট্রফি, আশা লক্ষ্মণের

তিন বছর আগে সানরাইরার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল জিতেছিলেন। কিন্তু গত বছর আইপিএলে খেলা হয়নি বল-বিকৃতি কাণ্ডে শাস্তি পেয়ে। অস্ট্রেলিয়ার সেই বাঁ হাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার এ বার ফুটছেন আইপিএলে জবাব দেওয়ার জন্য।

প্রত্যয়ী: শুক্রবার বিকেলে ইডেনে প্রস্তুতিতে মগ্ন ওয়ার্নার। নিজস্ব চিত্র

প্রত্যয়ী: শুক্রবার বিকেলে ইডেনে প্রস্তুতিতে মগ্ন ওয়ার্নার। নিজস্ব চিত্র

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:২০
Share: Save:

তিন বছর আগে সানরাইরার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল জিতেছিলেন। কিন্তু গত বছর আইপিএলে খেলা হয়নি বল-বিকৃতি কাণ্ডে শাস্তি পেয়ে। অস্ট্রেলিয়ার সেই বাঁ হাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার এ বার ফুটছেন আইপিএলে জবাব দেওয়ার জন্য।

শুধু যে কথায় নয়, কাজেও যে সেটা প্রমাণ করতে চান সেই প্রত্যয় যেন চুঁইয়ে পড়ছে ওয়ার্নারের বডি ল্যাঙ্গোয়েজেও। রবিবার আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ হায়দরাবাদের। বৃহস্পতিবার রাতেই দলবল-সহ কলকাতা চলে এসেছেন ওয়ার্নার, ঋদ্ধিমানরা। শুক্রবার বিকেলে ইডেনে হাজির হয়ে দলের সবার আগে মাঠে নামলেন ওয়ার্নারই। তার পরে নেটের উল্টো দিকে মাঠের মাঝখানে রাখা সাইটস্ক্রিনের পিছনে অদৃশ্য হয়ে গেলেন! সেখানে ফিজিক্যাল ট্রেনার ও ফিজিয়োর সামনে খালি গায়ে দৌড়। তার পরে স্ট্রেচিং করে ফিরেছিলেন ড্রেসিংরুমে। আধঘণ্টা পরে যখন চিউয়িংগাম চিবোতে চিবোতে মাঠে এলেন তখন ওয়ার্নারের পায়ে ফুটবল। বল নাচাতে নাচাতেই সতীর্থ শাকিব আল হাসান, ইউসুফ পাঠানদের সঙ্গে চলছিল তাঁর রসিকতা। হঠাৎ কালবৈশাখী ধেয়ে আসায় নেটে আর ব্যাট করা হয়নি ওয়ার্নারের। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তিত নয় তাঁর দল।

সানরাইজার্সের মেন্টর ভি ভি এস লক্ষ্মণও ওয়ার্নার প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘এ বার শিবিরে শুরু থেকেই ওয়ার্নারকে ইতিবাচক লাগছে। গত বছরের দুঃখজনক অধ্যায় পেরিয়ে এ বার সানরাইজার্সের জন্য বড় রান করতে মুখিয়ে রয়েছে ও। ওয়ার্নারের এই মরিয়া তাগিদ ট্রফি আনতে দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র।’’ অস্ট্রেলীয় এই ওপেনারের ফিটনেস নিয়েও আপ্লুত লক্ষ্মণ। বলছেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রম করে ফিটনেসটা দুর্দান্ত রেখেছে। অনুশীলনে প্রথম দিন থেকেই দুরন্ত ছন্দে আছে। হায়দরাবাদে প্রস্তুতি ম্যাচেও রান পেয়েছে ওয়ার্নার। ওর ছন্দে থাকাটা দলের পক্ষে অত্যন্ত স্বস্তির।’’

প্রতিপক্ষ কলকাতার স্পিন বিভাগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন লক্ষ্মণ। বলছেন, ‘‘ঘরের মাঠে কেকেআর কঠিন প্রতিপক্ষ। বোলিংটা ওদের বড় শক্তি। বিশেষ করে স্পিন বিভাগ। তবে বিপক্ষের শক্তি নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী রণনীতি তৈরি করছি আমরা।’’

হায়দরাবাদ দলে রয়েছেন, বাংলার দুই ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা ও শ্রীবৎস গোস্বামী। যাঁরা ভাল মতো অবহিত, চৈত্রের বিকেলে ইডেনের পিচ কী রকম আচরণ করবে সে ব্যাপারে। যে সম্পর্কে সানরাইজার্সের মেন্টর বলছেন, ‘‘চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পরে ফিরেছে ঋদ্ধি। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালই খেলেছে। ফিটনেসটাও ঠিক রয়েছে। এ বার মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে ভালই খেলেছে ঋদ্ধি ও শ্রীবৎস।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘গত বছর ইডেনে ভাঙা আঙুল নিয়ে প্লে অফে যে অবস্থায় কেকেআরের বিরুদ্ধে ইডেনে খেলেছিল ঋদ্ধি, তা সমীহ করার মতো। ওর মতো দায়িত্ববোধসম্পন্ন ক্রিকেটার সানরাইজার্সকে প্রেরণা জোগাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE