সেঞ্চুরির পর। ছবি: এপি।
অবশেষে খড়া কাটল। টেস্টে বাঙালি শেষ সেঞ্চুরির আস্বাদ পেয়েছিল ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর। মোহালিতে সে দিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১০২ রান করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর অপেক্ষা প্রায় ৮ বছরের। সঠিক ভাবে বলতে গেলে ৭ বছর ৯ মাস ২৩ দিন পর বাঙালিকে টেস্ট সেঞ্চুরির আস্বাদ দিল ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট। তা-ও আবার বিদেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। কঠিন পরিস্থিতিতে ঋদ্ধির ১০৪ শুধু বাঙালি হৃদয়ে শান্তি আনল না, স্বস্তি এনে দিল খাদের কিনারায় থাকা ভারতীয় দলেও।
গ্রস আইলেটে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ঋদ্ধি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন ১২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ভারত। সেখান থেকে অশ্বিনের সঙ্গে রেকর্ড পার্টনারশিপ করেন ঋদ্ধি। ভারতীয় ক্রিকেটের এত বছরের ইতিহাসে কখনও ছয় এবং সাত নম্বর ব্যাটসম্যান শতরান করেননি। অশ্বিন-ঋদ্ধির ২১৩ রানের পার্টনারশিপ বিদেশে ভারতের যেকোনও টেস্টে দ্বিতীয় সেরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে এত দিন অযথা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হতেন বাংলার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এ দিন কিন্তু দেখা গেল অনেক পরিণত ঋদ্ধিকে। বোলারদের শাসানোর জন্য বেশি মস্তানি নয়। ঠান্ডা মাথায়, নিখুঁত ক্রিকেট বেসিকস মেনে ব্যাটিংটা করে গেল। নতুন বল, পুরনো বল, রিভার্স সুইং, স্পিন— সব কিছুরই জবাব ছিল ওর ব্যাটে। অশ্বিন তো আরও ফোকাস্ড, আরও নিখুঁত ও সাবধানী। ও সঙ্গে থাকায় বোধহয় আরও সুবিধা হয়েছে ঋদ্ধির। উল্টো দিকে এমন একটা বরফশীতল মাথার ব্যাটসম্যান থাকলে নিজেকেও সে রকমই রাখতে সুবিধা হয়। তাও যে সব সময় অশ্বিনকেই অনুসরণ করে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। একটা সময় অশ্বিনের সঙ্গে ওর প্রায় ৪০-৫০ রানের তফাত ছিল। অথচ ওরা দু’জনে কয়েক বলের ব্যবধানে সেঞ্চুরিতে পৌঁছয়।
সৌরভ এবং ঋদ্ধি ছাড়া টেস্টে দেশের হয়ে শতরান আছে দীপ দাশগুপ্তের। তবে টেস্টে বাঙালির প্রথম সেঞ্চুরি এসেছিল পঙ্কজ রায়ের ব্যাট থেকে। ১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বারবার বলেছে, সেঞ্চুরি এ বারে চাই-ই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy