জোকার বধে মারেকে টিপস ম্যাকেনরোর

উইম্বলডনে নামার আগে অপ্রত্যাশিত ভাবে অ্যান্ডি মারের দিকে এগিয়ে এল সাহায্যের হাত— জন ম্যাকেনরোর।

মারের যা প্রতিভা, তাতে কেরিয়ার শেষ করার পর তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে আরও বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব থাকা উচিত বলে মনে করেন মার্কিন কিংবদন্তি। কিন্তু সেটা কিছুতেই হচ্ছে না। ব্রিটিশ এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার বার বার আটকে যাচ্ছেন সার্কিটে তাঁর সবচেয়ে বড় গাঁট নোভাক জকোভিচের কাছে। তাই এক নম্বরকে রোখার রাস্তা বাতলাতে মারেকে টিপস দিলেন ম্যাকেনরো। ৫৬ বছরের কিংবদন্তি নাকি মনে করেন এ মরসুমে মারে যে রকম ফর্মে তাতে জোকারকে তিনি হারাতেই পারেন।

কিন্তু ঠিক কী বলেছেন ম্যাকেনরো? ‘‘গত এক-দেড় বছরে অ্যান্ডি যে ভাবে উন্নতি করেছে তাতে ও যদি অন্তত আরও খান দুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জেতে তা হলে অবাকই হব।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘অ্যান্ডির সুযোগ আছে বলছি কারণ গ্র্যান্ড স্ল্যামে নেমে ও কিন্তু প্রথম চারে থাকছে। ওকে দেখে ফিট মনে হচ্ছে। বিপজ্জনকও। তাই নোভাকের একটা খারাপ দিনের সুযোগ নেওয়ার জন্য অ্যান্ডি কিন্তু প্রস্তুত হয়ে আছে।’’ মঙ্গলবারই কোচ এমিলি মরেসমোর সঙ্গে উইম্বলডন প্রস্তুতি শুরু করেছেন মারে। তার আগে মানসিক ভাবে নিজেকে তরতাজা রাখতে এক দিন ছুটিও নিয়েছিলেন। এই মারেকে দেখে ম্যাকেনরো খুব খুশি। ‘‘আমার মতে সব মিলিয়ে মারে ১০-১৫ শতাংশ এগিয়ে আছে। যেটা ওর পর্যায়ে খুব ভাল উন্নতি। আমার মনে হয় ও নিজেও এই ছন্দটা অনুভব করছে।’’

প্রাক্তন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন ম্যাকেনরো অবশ্য সঙ্গে এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, শুধু মাত্র ফিটনেস বা ফর্ম থাকলেই হয় না। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে আরও অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যার অন্যতম পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। ‘‘এই পর্যায়ের সাফল্যের জন্য লেগে থাকাটা আসল। নোভাক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তীব্র গরমে কতটা সমস্যায় পড়েছিল সবাই দেখেছেন।’’ তবে জকোভিচের মতো প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে আরও একটা বড় চ্যালেঞ্জ বিপক্ষের হার না মানা মানসিকতা। তাতে ধাক্কা দিতে হয়। ম্যাকেনরোর কথায়, ‘‘অনেক সময় বিপক্ষকে দেখে মনে হয় ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ছে। কিন্তু তখন নেতিবাচক ভাবলে চলবে না। ’’