অঘটন: মারে-কে হারিয়ে স্বপ্নের জয় টমসনের। —ফাইল চিত্র।
চব্বিশ ঘণ্টা আগে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস প্লেয়ারকে হারানোর ঘোরটা এখনও কাটছে না তাঁর। কুইন্স ক্লাবের প্রথম রাউন্ডের লড়াইয়ে অ্যান্ডি মারেকে হারিয়ে উঠে অস্ট্রেলিয়ার জর্ডান টমসন বলছেন, ‘‘যখন শুনি প্রথম রাউন্ডে মারের সঙ্গে খেলতে হবে, বেশ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ম্যাচ জিতে উঠে মনে হল স্বপ্ন দেখছি।’’
নার্ভাস হয়ে পড়লেও মারের বিরুদ্ধে ৭-৬ (৭-৪), ৬-২ জিততে সমস্যা হয়নি টমসনের। অথচ তাঁর এই টুর্নামেন্টে খেলার কথাই ছিল না। কোয়ালিফাইং রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন টমসন। কিন্তু তেইশ বছরের তরুণ তবু থেকে যান এই আশায়, যদি কেউ নাম তুলে নেন, তা হলে আর একটা সুযোগ পাবেন। অত্যাশ্চর্য ভাবে সেই সুযোগ এসে যায় টমসনের সামনে। যখন মারের প্রথম রাউন্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী আলজাজ বেদেনে চোটের জন্য নাম তুলে নেন।
টমসন বলছিলেন, ‘‘আমি ‘লাকি লুজার’ হওয়ার জন্য সই করেছিলাম। তাই থেকে গিয়েছিলাম। যদি কোনও সুযোগ পাওয়া যায়। ভাবতে পারিনি এ রকম হবে।’’ বিশ্বের এক নম্বরকে হারানোর আগে ট্যুর পর্যায়ে ঘাসের কোর্টে কোনও ম্যাচ কোনও দিন জেতেননি টমসন। মারের বিরুদ্ধে নামার আগে কী রকম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? টমসন বলছেন, ‘‘অন্য দিনগুলোয় যা করে থাকি, সেটাই করেছি। ওয়ার্ম আপ করলাম, খাবার খেলাম, তার পর কোর্টে নামলাম।’’ কোর্টে নেমে তিনি যে কাণ্ডটা ঘটালেন, তার জন্য অবশ্য তৈরি ছিল না টেনিস দুনিয়া।
বিশেষ করে কুইন্স ক্লাবের ঘাসের কোর্টে, যেখানে মারে প্রায় অপ্রতিরোধ্য। পাঁচ বার এখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ব্রিটিশ তারকা। যার মধ্যে শেষ চার বছরে তিন বার। স্বাভাবিক ভাবেই মারের বিরুদ্ধে এই জয়কে জীবনের সেরা জয় বলছেন টমসন। ‘‘ম্যাচটা জেতার পরে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। বিশ্বের এক নম্বরকে হারানো, গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়নকে হারানো মুখের কথা নয়। তার ওপর কুইন্সের ঘাসের কোর্টে মারেকে হারালাম। অবশ্যই আমার জীবনের সেরা জয়।’’ নিজের খেলা নিয়ে টমসন বলছেন, ‘‘আমার সার্ভিসটা ভাল হয়েছে। ঘাসের কোর্টে খেলাটা খুব দ্রুত হয়েছে। কয়েকটা ভাল এস মেরেছি। মারে এমন কয়েকটা ভুল করে, যেটা সাধারণত ও করে না। সব মিলিয়ে দিনটা আমার ভালই গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy