Advertisement
E-Paper

এশিয়া কাপ তিরন্দাজিতে দেশকে রুপো দিলেন বাংলার জুয়েল, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রী মমতার

তিরন্দাজি এশিয়া কাপ স্টেজ ২ প্রতিযোগিতায় দেশকে রুপো এনে দিলেন জুয়েল সরকার। ছেলেদের দলগত রিকার্ভ বিভাগে ভারত দ্বিতীয় হয়। ঝাড়গ্রামের বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির ফসল জুয়েল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৫ ১৯:২৫
Juyel Sarkar

জুয়েল সরকার। —ফাইল চিত্র।

ভারতের মুখ উজ্জ্বল করলেন বাংলার জুয়েল সরকার। তিরন্দাজি এশিয়া কাপ স্টেজ ২ প্রতিযোগিতায় দেশকে রুপো এনে দিলেন তিনি। ছেলেদের দলগত রিকার্ভ বিভাগে ভারত দ্বিতীয় হয়। ঝাড়গ্রামের বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির ফসল জুয়েল। এটি রাজ্য সরকারের। জুয়েলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতীয় দলে জুয়েল ছাড়াও ছিলেন বিষ্ণু চৌধুরী ও পরশ হুডা। ফাইনালে ভারতের সামনে ছিল জাপান। ভারত ৬-০ ফলে হেরে যায়। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৫-১ ফলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন জুয়েলরা। তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে ভুটানকে ৬-২ ফলে হারিয়েছিল ভারত। সিঙ্গাপুরে হয়েছে প্রতিযোগিতা।

২০১৮ সাল থেকে বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করছেন মালদহের ছেলে জুয়েল। মাত্র ১২ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের এই অ্যাকাডেমিতে। ১৯ বছর বয়সে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাকে জাতীয় গেমসে সোনা এনে দিয়েছিলেন জুয়েল। ছোট থেকেই প্রতিভাবান তিনি। ঝাড়গ্রামের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও ক্ষুরধার হন।

মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে অভিনন্দনবার্তায় লেখেন, ‘‘গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি রাজ্য সরকারের বেঙ্গল আর্চারি অ্যাকাডেমির জুয়েল সরকার সিঙ্গাপুরে আর্চারি এশিয়া কাপ স্টেজ ২ প্রতিযোগিতায় রুপো জিতেছে। জুয়েলকে অভিনন্দন। ওঁর পরিবার এবং কোচেদেরও অভিনন্দন।’’ জাতীয় গেমসে জুয়েলের সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে জুয়েলই একমাত্র যে উত্তরাখণ্ডে জাতীয় গেমসে সোনা জিতেছিল।’’

Message from CM Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দনবার্তা।

মালদার গাজল ব্লকের ধোয়াপাড়া গ্রামের ছেলে জুয়েল। বাবা নিশম সরকার কৃষক। স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে অভাবের সংসার। চাষের কাজেও বাবাকে সাহায্য করেন জুয়েল। তাঁর তিরন্দাজির শুরুটা কোনও পরিকল্পনা করে নয়। গাজলের ধরনীভূবন শশী বিদ্যাপীঠের শিক্ষকেরা হঠাৎই এক দিন জানতে চান, কেউ তিরন্দাজিতে আগ্রহী কি না। কৌতূহলবশতই হাত তুলে ফেলেন জুয়েল। সেটাই শুরু। প্রথমে বাঁশ ও কাঠের তৈরি ধনুক দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রশিক্ষণ। পরে রাজ্য সরকারের অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পাওয়ার পরই পান আন্তর্জাতিক মানের ধনুক। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জুয়েলকে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy