উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে জয়ের দোরগোড়ায় এসেও জেতা হল না নিউজিল্যান্ডের। ওয়েলিংটনে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অপরাজিত সেঞ্চুরি বিফলে গেল ক্রিস ওকসের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ের জন্য।
ইংল্যান্ডের চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে তৃতীয় ওয়ান ডে-তে শনিবার প্রথমে ব্যাট করে ২৩৪ রান তোলেন ইয়ন মর্গ্যানরা। ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে অন্যরা ব্যর্থ হলেও ওপেনার কলিন মুনরো (৪৯) ও টেল এন্ডার মিচেল স্যান্টনারকে (৪১) সঙ্গে নিয়ে দলকে লক্ষ্যের অনেক কাছাকাছি পৌঁছেও দেন উইলিয়ামসন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান প্রয়োজন ছিল তাঁদের। সেই ওভারের তৃতীয় বলে ওকসকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে একটি ছয় হাঁকান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। কিন্তু ওকসের একটা লো ফুলটস ও একটা ওয়াইড ইয়র্কারই ইংল্যান্ডের জয় সুনিশ্চিত করে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এগিয়ে রইল ইংল্যান্ড।
দু’বার জীবন পাওয়ার পরে মুনরো কভারে বেন স্টোকসকে কঠিন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শরীরটাকে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে অসাধারণ ক্যাচটি নেন স্টোকস। এর পরেই ইংল্যান্ডের স্পিন-জুটি আদিল রশিদ (২-৩৪) ও মইন আলি (৩-৩৬) নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারের উপর দিয়ে প্রায় বুলডোজার চালিয়ে দেন। পরপর মার্ক চ্যাপম্যান, টম লাথাম, হেনরি নিকোল্স, কলিন ডে গ্র্যান্ডহোমদের ফেরান দুই স্পিনার। নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৮০-১ থেকে ১০৩-৬-এ এসে দাঁড়ায়। স্যান্টনারের সঙ্গে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উইলিয়ামসন এই পরিস্থিতি সামলে নেন ঠিকই। কিন্তু শেষরক্ষা আর করতে পারেননি।
হতাশ নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ম্যাচের পরে বলেন, ‘‘খুবই হতাশাজনক এই হার। তবে ইংল্যান্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা সত্যিই ভাল খেলেছে। তাই জয়টাও ওদেরই প্রাপ্য। ব্যাটিংয়ের শুরুটা আমরা ভাল করেছিলাম। কিন্তু মিডল অর্ডারের ওই ধসটাই আমাদের লড়াই থেকে অনেকটা পিছিয়ে দিল। ওদের স্পিনাররা দারুন বল করেছে। তবে এই উইকেটে বড় শট নেওয়াটা ক্রমশ বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। উইকেটের চরিত্রও ক্রমশ বদলে যাচ্ছিল। তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও কম কঠিন হয়নি।’’
ইংল্যান্ডের ইনিংসেও যে ব্যাটসম্যানরা সাবলীল ভাবে খেলেছেন, তাও না। অধিনায়ক মর্গ্যানের দু’রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি এ দিন। তাঁদের ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ রান। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান মইন আলি।