Advertisement
E-Paper

ইডেনের হারের পাল্টা জবাবই লক্ষ্য নাইটদের

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ লিগ তালিকায় টেবলের শীর্ষে থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে হেরেছে। প্লে-অফের আগে জয়ে ফিরতে ঘরের মাঠে এই ম্যাচটাই এখন কেন উইলিয়ামসনদের পাখির চোখ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০৪:১০
মহড়া: হায়দরাবাদে অনুশীলনে দুই ভরসা, রাসেল ও কুলদীপ। ছবি: পিটিআই

মহড়া: হায়দরাবাদে অনুশীলনে দুই ভরসা, রাসেল ও কুলদীপ। ছবি: পিটিআই

প্লে-অফ পর্ব শুরুর তিন দিন আগেও দীনেশ কার্তিকদের জানা নেই, তাঁরা আদৌ খেলবেন কি না। তবে আজ, শনিবার রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্স যে ম্যাচে নামছে, তা নক-আউটের লড়াইয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। এই ম্যাচ হারলেই যে আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ লিগ তালিকায় টেবলের শীর্ষে থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে হেরেছে। প্লে-অফের আগে জয়ে ফিরতে ঘরের মাঠে এই ম্যাচটাই এখন কেন উইলিয়ামসনদের পাখির চোখ। বৃহস্পতিবার তাঁদের হারিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যে ভাবে প্লে-অফের দৌড়ে ফিরে এসেছে, তাতে ২৩ মে ইডেনে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হওয়ার দাবিদার এখন পাঁচটি দল। সপ্তাহ শেষের চার ম্যাচেই ঠিক হয়ে যাবে কোন দুই দল ইডেনমুখী হতে চলেছে। শুক্রবার চেন্নাই সুপারকিংস হেরে যাওয়ায় আবার প্রথম দু’টি স্থান নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিল। কেকেআরের সামনে শনিবার বড় ব্যবধানে জিতে দু’নম্বরে ওঠার সম্ভাবনাও আছে এখন।

অঙ্কের জটিল হিসাব ও অন্য দলের দয়ায় সেরা চারে যাওয়া এড়াতে কেকেআরের সামনে একটাই রাস্তা, হায়দরাবাদকে হারানো। সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে তাদের সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল মনে হলেও চলতি আইপিএলে দলগুলির সাফল্য ও ব্যর্থতার রেখচিত্র যে ভাবে ওঠানামা করছে, তাতে কোন ম্যাচে কে জিতবে তা আগাম বলার ঝুঁকিই নিতে চাইছেন না কেউ।

গত শনিবার ইনদওরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২৪৫ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে জেতে কেকেআর। তার আগের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটিং ঝড় থামিয়ে তাদের ১৪২ রানে আটকে রেখে জেতে নাইটরা। এই দুই ম্যাচে কার্তিকদের ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগই সফল। এই কারণেই শনিবার তাঁরা এগিয়ে থাকতে পারে।

কিন্তু গত দুই ম্যাচে হারের আগে উইলিয়ামসনরা যে টানা ছ’টি জিতে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিলেন, এটাও উড়িয়ে দেওয়ার মতো তথ্য নয়। মাসখানেক আগে চলতি আইপিএলে নাইটদের ঘরের মাঠে তাঁদের হারায় হায়দরাবাদ। তিন প্রাক্তন নাইট শাকিব-আল-হাসান, মণীশ পাণ্ডে ও ইউসুফ পাঠানের উপস্থিতি এই ম্যাচেও কাজে লাগতে পারে। তবে শেষ দু’জনের পারফরম্যান্সে তেমন ধারাবাহিকতা নেই।

লড়াইটা দু’দলের ব্যাটসম্যানদের মতো স্পিনারদেরও। এক দিকে যেমন কুলদীপ যাদব ও সুনীল নারাইন জুটি, অন্য দিকে তেমন শাকিব ও রশিদের জোড়া আক্রমণের আশঙ্কা। শনিবারও সেই দ্বৈরথ দেখা যাবে। তবে পীযূষ চাওলাকে এই ম্যাচেও পাওয়া যাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। পেশির চোটের জন্য গত ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। এ দিন অনুশীলন থেকেও তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। শনিবার সকালেই জানা যাবে, চাওলা খেলতে পারবেন কি না।

এ দিন নেটে টম কারেন, আন্দ্রে রাসেল ও জ্যাভন সার্লস দীর্ঘ ক্ষণ বোলিং করেন। সুনীল নারাইন বোলিংয়ের চেয়ে এখন ব্যাটিংয়েই বেশি মন দিচ্ছেন। এ দিনও নেটে অনেকক্ষণ নকিং করেন তিনি। নাইটরা পেসের বিরুদ্ধেই বেশি ব্যাটিং অনুশীলন করেন। ভুবনেশ্বর কুমার, সন্দীপ শর্মা, সিদ্ধার্থ কলদের মোকাবিলার প্রস্তুতির দিকে বোধহয় বেশি জোর দিচ্ছেন রবিন উথাপ্পা, নীতীশ রানারা। কারণ, উপ্পলের উইকেটে ব্যাটিং একেবারেই সহজ নয়। চলতি আইপিএলে সব চেয়ে বেশি রান উঠেছে ১৮২। বেশির ভাগ ম্যাচেই ১৪০-১৫০ রান উঠেছে।

মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে চাপমুক্ত থাকার প্রক্রিয়া অবশ্য অব্যাহত নাইট শিবিরে। ক্রিকেটাররা অবসর কাটিয়ে নিজেদের মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। কেউ হোটেলেই ক্রিকেট খেলছেন, কেউ শহরে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। কয়েক জন নাইট আবার স্পনসরদের অনুষ্ঠানে গিয়েও মজা করেন। কোচ জাক কালিসও ক্যামেরন ডেলপোর্টকে নিয়ে গল্ফ খেলতেও চলে যান শুক্রবার সকালে।

KKR SRH video
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy