অলিম্পিক্স ব্রোঞ্জ পদকজয়ী এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া চিকিৎসক ভেস পেজের শেষকৃত্য হল রবিবার। বন্ধু লিয়েন্ডার পেজের বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ ছাড়া ছিলেন হকি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট দিলীপ তিরকে, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অরুণ লালের মতে বিশিষ্ট ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা।
মিডলটন রো-তে সেন্ট টমাস চার্চে বাবাকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন লিয়েন্ডার। তাঁকে সামলাতে দেখা যায় বন্ধু সৌরভকে। ছিলেন কয়েক জন কর্মকর্তাও। ভেস পেজের শেষ যাত্রায় তরুণ খেলোয়াড়েরা রাস্তার দু’পাশে হকি স্টিক তুলে শেষ শ্রদ্ধা জানান। হকি বেঙ্গল তাঁবুতে শ্রদ্ধা জানান তিরকে। যে ক্লাব থেকে তিনি খেলোয়াড় জীবন শুরু করেছিলেন সেই ইস্টবেঙ্গল, যে ক্লাবের হয়ে তিনি ন’টি বেটন কাপ ট্রফি জিতেছিলেন সেই মোহনবাগান এবং হকি বেঙ্গলের পতাকা তাঁর কফিনে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভেস পেজকে সমাধিস্ত করা হয় লোয়ার সার্কুলার রোড কবরস্থানে।
বয়সজনিত রোগ এবং পার্কিনসন্সে ভুগছিলেন ভেস পেজ। বৃহস্পতিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮০ বছর বয়সে। শুধু ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ জয়ী হিসেবেই নয়, তিনি স্মরণীয় হয়েথাকবেন একাধিক খেলায় দক্ষতা দেখানোর জন্যও। হকিতে যেমন মিডফিল্ডে খেলতেন, তেমনই রাগবিতেও পারদর্শী ছিলেন।
হকি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট তিরকে বলেন, ‘‘ডক্টর পেজের অভাব চিরকাল অনুভব করবেন ক্রীড়াপ্রেমী, ক্রীড়াজগতের মানুষ এবং হকি খেলোয়াড়েরা। এক জন খেলোয়াড় এবং চিকিৎসক হিসেবে তিনি অন্য বহু খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শিবিরে থাকার সময় তিনি দলের সঙ্গে থাকতেন। বহু বছর ধরে বিনামূল্যে খেলোয়াড়দের চিকিৎসা করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ওঁকে ২০০৪ আথেন্স অলিম্পিক্সের সময় কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম।’’
পাশাপাশি ভারতীয় ক্রীড়ায় পেজ পরিবারের অবদান নিয়ে তিরকে বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রীড়ায় প্রথম বার আমরা দেখেছি এক পরিবার থেকে বাবা এবং পুত্রকে অলিম্পিক্স পদক জিততে। অর্থাৎ ড. পেজ হকিতে এবং লিয়েন্ডারকে টেনিসে। আবার লিয়েন্ডারের মা জাতীয় বাস্কেটবল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছেন। ফলে গোটা পরিবারই খেলাধুলোয় নিবেদিত প্রাণ।’’ ভেস পেজ একইসঙ্গে জাতীয় রাগবি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত। শুধু একাধিক খেলাতেই নয়, স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগেও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন ভেস পেজ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)