গোলের সেলিব্রেশন। -এপি
কখনও তিনি ভিনগ্রহের প্রাণী। কখনও আবার অতিমানবীয় প্রতিভা। আবার অনেক সময় তিনি স্বয়ং ঈশ্বর।
এ বার তাঁর প্রতিভা পেল আরও এক বিশেষণ— প্লে স্টেশন ফুটবলার।
তিনি— লিওনেল মেসি।
রবিবার রাতের মেসিকে ঠিক এ ভাবেই সম্বোধন করলেন লুইস সুয়ারেজ। বলে দিলেন ভিডিও গেমে প্লেয়াররা যেমন ফুটবলটা নিয়ে অবিশ্বাস্য সমস্ত জিনিস করতে পারেন, বাস্তব জীবনেও মেসি সে রকমই। বাঁ পায়ে ফুটবলটা থাকলে অবিশ্বাস্য সমস্ত স্কিল যাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়।
রবিবার রাতে জাপান দেখেছিল গোলক্ষুধার্ত রোনাল্ডোকে। যার হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে রিয়াল মাদ্রিদ বসল বিশ্বসেরা ক্লাবের সিংহাসনে। তার কিছু ঘণ্টা পরেই ন্যু কাম্প আবার দেখল শিল্পী মেসিকে। যাঁর চোখ ধাঁধানো স্কিলের এগজিবিশনে কাতালান ডার্বিতে এস্প্যানিয়লের বিরুদ্ধে ৪-১ জিতল বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধের শুরুর থেকেই মেসি-ম্যাজিকে মোহিত হয় ন্যু কাম্প। ছোট্ট ছোট্ট ড্রিবল করতে থাকেন। যদিও লুইস সুয়ারেজের গোলে ১-০ এগোয় বার্সা। বিরতির পর সুয়ারেজই ২-০ এগিয়ে দেন বার্সাকে। যে গোলের কারিগর ছিলেন মেসি। চারজনকে ড্রিবল করে এলএম টেন শট মারেন। গোলকিপার সেভ করলেও রিবাউন্ডে সুয়ারেজ গোল করেন। এখানেই থেমে থাকেননি এলএম টেন। ইয়র্দি আলবার গোলটাও তাঁর সাজিয়ে দেওয়া। রাতটা স্মরণীয় করে রেখে দলের চতুর্থ গোলটা করেন মেসি।
ম্যাচ শেষে এলএম টেনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সতীর্থরা। বিশেষ করে সুয়ারেজ। যাঁর মতে দ্বিতীয় গোলটা মেসি করলেই তিনি বেশি খুশি হতেন। ‘‘আমি চেয়েছিলাম মেসি ফিনিশটা করুক। যে ভাবে সবাইকে পিছনে ফেলে সুযোগটা তৈরি করল, দারুণ হত ফিনিশটা হলে। ওকে দেখে মনে হচ্ছিল প্লে-স্টেশনের ফুটবলার। অভিনব স্কিল,’’ বলছেন সুয়ারেজ।
মেসি-ম্যাজিকের সৌজন্যে লা লিগা টেবলের দু’নম্বরে থাকল বার্সা। ১৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে। ১৫ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে রিয়াল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy