Advertisement
০৬ মে ২০২৪

শুরুতেই বিরাট কিছু ভেবে নামছি না

অবশেষে অপেক্ষার অবসান। এই লেখাটা লিখতে লিখতেই হ্যাগলি ওভালে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামার জন্য ছটফট করছি। তবে ইদানীং ব্ল্যাক ক্যাপস যে রকম ফর্মে রয়েছে, তাতে প্রথম ম্যাচে আমাদের কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। তার উপর ওদের পাড়াতেই খেলা!

কুমার সঙ্গকারা
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৪৬
Share: Save:

অবশেষে অপেক্ষার অবসান। এই লেখাটা লিখতে লিখতেই হ্যাগলি ওভালে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামার জন্য ছটফট করছি।

তবে ইদানীং ব্ল্যাক ক্যাপস যে রকম ফর্মে রয়েছে, তাতে প্রথম ম্যাচে আমাদের কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। তার উপর ওদের পাড়াতেই খেলা!

সত্যি বলতে, গত কয়েক সপ্তাহে আমাদের প্রস্তুতি খুব একটা ভাল হয়নি। আমাদের সেরা বোলাররা যেমন ফিটনেস সমস্যায় ভুগছিল, তেমনি আমাদের যত ম্যাচ জেতা উচিত ছিল, তা পারিনি আমরা। তবে আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে বেশি আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, আমরা জানি আমাদের দল যথেষ্ট ভাল।

গত কয়েক বছরে তো ৫০ ওভার আর কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে আমরা খারাপ খেলিনি। চাপের মুখে খেলার চ্যালেঞ্জটা আমরা বেশি উপভোগ করি। এবং এই ব্যাপারটাই প্রথম ম্যাচের প্রস্তুতিতে আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।

যার সঙ্গে আবার মালিঙ্গার প্রত্যাবর্তন সেই আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে বলতে পারেন। ও আমাদের বোলিং আক্রমণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সম্প্রতি আমাদের ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সিরিজে ওর অভাবটা ভাল মতোই টের পেয়েছি। লাসিথ আসলে ম্যাচ উইনার। বিশেষ করে ডেথ ওভারে ও আমাদের প্রচুর জয় এনে দিয়েছে। সম্প্রতি ও তেমন ক্রিকেটের মধ্যে নেই বলে হয়তো ওর কাছ থেকে এখনই ওর সেরাটা পাওয়া যাবে না। তবু বলব, লাসিথের ফিরে আসাটা আমাদের কাছে সত্যিই ভাল খবর।

এ বারের বিশ্বকাপ হয়তো সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ, এ বার অনেকগুলো দলই বাস্তবে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। দুই আয়োজক দেশই বেশ ভাল দল নিয়ে নামছে যেমন, তেমনি দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ম্যাচ উইনারের সংখ্যা অনেক। আবার বিদেশের পরিবেশে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ভাল খেলার সব উপাদানই রয়েছে উপমহাদেশের দুই দল ভারত আর পাকিস্তানের।

টুর্নামেন্টের শুরুটাই হচ্ছে উইক- এন্ডের জমজমাট লড়াই দিয়ে। আমরা যেমন নামছি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে, তেমনি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডও মুখোমুখি হবে আজ। আবার কালই ভারত-পাকিস্তান। ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ দুর্দান্ত। আর যা-ই চোট সমস্যা থাক, ওদের ক্রিকেটের ইতিহাসে সম্ভবত সেরা ফাস্ট বোলিং গভীরতা নিয়ে এসেছে।

সোজা কথাটা হল, এই টুর্নামেন্টে কাগুজে বাঘ হয়ে লাভ নেই। ম্যাচের দিন কে কত ভাল পারফর্ম করবে এটাই আসল কথা। আমরা শুরুতেই বেশি কিছু ভাবছি না। প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। প্রতি ম্যাচকে আলাদা ভাবে ফোকাস করতে হবে। এই পরিকল্পনাটা আগেও আমাদের কাজে এসেছে। এ বারও আমরা সে ভাবে এগোব ঠিক করেছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

world cup 2015 sangakara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE