সংকল্প: আর্জেন্তিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে মরিয়া মেসি। ফাইল চিত্র
তীর্থযাত্রায় যেতে চান লিওনেল মেসি!
রোজারিও থেকে সাধারণ ভক্তদের সঙ্গে টানা চোদ্দো ঘণ্টা হেঁটে ৬৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছবেন সান নিকোলাসে, আওয়ার লেডি অব রোজারিও চার্চে। কিন্তু সব কিছুই নির্ভর করছে আগামী বছর রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার পারফরম্যান্সের উপর। কারণ, দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলেই তীর্থযাত্রায় বেরোবেন মেসি। প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী নিকোলাস যান। আগামী বছর সেই দলে সেরা আকর্ষণ হতে পারেন মেসি।
এই মুহূর্তে মস্কোয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আর্জেন্তিনা দল। মেসি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জিতলে আমি পায়ে হেঁটে নিকোলাসে যাব।’’ আর্জেন্তিনার আর এক তারকা সের্জিও আগুয়েরো আবার বলেছেন, ‘‘হাঁটব কেন? আমরা দৌড়ে নিকোলাস যাব।’’
আরও পড়ুন: শ্যুটিংয়ে এসে ইডেনের পিচ পরীক্ষা ধোনির
ব্রাজিলে তিন বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে হেরে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মেসি। রাশিয়া বিশ্বকাপেও আর্জেন্তিনার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে ৩-১ হারিয়ে ছাড়পত্র আদায় করে আর্জেন্তিনা। দুরন্ত হ্যাটট্রিক করেন মেসি। এ বার তাঁর লক্ষ্য দেশকে বিশ্বসেরা করা। ফুটবল পণ্ডিতদের মতে রাশিয়া বিশ্বকাপের সময় মেসির বয়স হবে একত্রিশ। ফলে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে পঁয়ত্রিশ বছরের মেসিকে সেরা ফর্মে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই রাশিয়াতেই স্বপ্নপূরণ করতে মরিয়া আর্জেন্তিনা অধিনায়ক। আর এই কারণেই ৬৮ কিলোমিটার হেঁটে তীর্থযাত্রার মানত মেসির।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রস্তুতিতে ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও সমালোচকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে ভোলেননি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আর্জেন্তিনা দল তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। কোচ জর্জে সাম্পাওলি নাকি মেসির নির্দেশেই মাওরো ইকার্দিকে দলে নেননি। ক্ষুব্ধ বার্সেলোনা তারকা বলেছেন, ‘‘আমি কখনও বলিনি, জাতীয় দলে ইকার্দিকে চাই না।’’ তীর্থযাত্রাই শুধু নয়। বিশ্বকাপ জয়ের পর শৈশবের ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবের হয়ে ফের মাঠে নামার পরিকল্পনাও রয়েছে মেসির। তিনি বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনা ছাড়লে একমাত্র নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজেই সই করব। অন্য কোনও ক্লাবে নয়। সেটা কবে হবে এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে আমার স্বপ্ন শৈশবের ক্লাবের হয়ে খেলা।’’
১৯৯৪ সালে নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবেই ফুটবল শুরু মেসির। ২০০০ সালে এই ক্লাব থেকেই তেরো বছর বয়সে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়া-য় যোগ দেন তিনি। তার পরেই জন্ম নেয় বিশ্বফুটবলের নয়া রূপকথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy